শুরুটাই ছিল উৎসবমুখর। ৩৬তম লা লিগা ট্রফি হাতে এসেছে রোববার সকালে, এরপর ছাদখোলা বাসে চড়ে আর সিবেলেস স্কয়ারের জমায়েতে একপ্রস্থ উদ্যাপন হয়ে গেছে সেদিনই।
তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু গ্যালারিতে বসা দর্শকদের সামনে ট্রফি দেখানো বাকি ছিল। আজ আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে সে কাজটাই সেরে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এরপরের কাজ ছিল ম্যাচটা মনের আনন্দে খেলা। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র-জুড বেলিংহামরা সেটাই করেছেন। আর তারই ফল, রিয়াল মাদ্রিদ ৫-০ ব্যবধানে জয়ী। সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে জুটেছে একটা রেকর্ড। নিজেদের ইতিহাসে লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ক্লিনশিটের রেকর্ড।
রিয়াল মাদ্রিদের ৫ গোলের দুটি করেছেন ভিনিসিয়ুস, একটি করে বেলিংহাম, ফেদে ভালভের্দে ও আরদা গুলের।
দশম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন বেলিংহাম, যা লা লিগায় প্রথম আসরে তাঁর ১৯তম গোল। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস। বিরতির আগে ভালভেদে স্কোরলাইন করেন ৩-০, যে গোলে অ্যাসিস্ট বেলিংহামের।
রিয়ালের চতুর্থ গোলেও অবদান বেলিংহামের। তাঁর বাড়ানো বল ধরে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ভিনিসিয়ুস। এ নিয়ে ২০২৪ সালে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৪ ম্যাচে ২২ গোলে জড়িত থাকলেন ভিনিসিয়ুস (১৬ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট)। লা লিগার আর কোনো খেলোয়াড়ের এত গোলে সংশ্লিষ্টতা নেই।
রিয়ালের পঞ্চম ও শেষ গোলটি আসে ৮১ মিনিটে, গুলেরের কাছ থেকে।
স্বাগতিকদের এই গোল উৎসবে আলাভেস যে শুধু দেখে গেছে তা নয়, বেশ কয়েকবার থিবো কোর্তোয়াকে পরীক্ষায় ফেলেছেন স্যামুয়েল ওমোরোদিয়ন, ইয়ানিস হ্যাগিরা। ফুটবলের তথ্য-উপাত্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান অপটার পরিসংখ্যান বলছে, কোনো গোল হজম ছাড়াই মোট ১০টি সেভ করেছেন কোর্তোয়া, যা ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে রিয়াল জারাগোজার বিপক্ষে ইকার ক্যাসিয়াসের পর রিয়ালের কোনো গোলকিপারের সর্বোচ্চ।
কোর্তোয়ার গোল হজম না করার কীতির রাতে ক্লিনশিটের রেকর্ড হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। চলতি মৌসুমে লা লিগার ৩৬ ম্যাচের মধ্যে ২০টিতেই কোনো গোল হজম করেনি রিয়াল, যা ক্লাব ইতিহাসের রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৬-৮৭, ১৯৮৭-৮৮ ও ২০১৯-২০ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৯টি ম্যাচে ক্লিনশিট ছিল।
আলাভেসকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের আরেকটি কীর্তিরও পুনরাবৃত্তি করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে লা লিগায় টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত রিয়াল, যা ১৯৮৮-৮৯ সময়েই শুধু দেখা গিয়েছিল।
লা লিগা ট্রফি হাতে তুলে ফেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৩৬ ম্যাচে ৯৩, দুইয়ে থাকা বার্সেলোনার ৩৫ ম্যাচে ৭৬।