৮২ মিনিটে আলেহান্দ্রো গারনাচো যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিলেন, ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের লাল অংশে তখন উৎসবের আমেজ। ৮৯ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার গোলে ইউনাইটেডের ক্ষণিকের উৎসব বিলীন হয়ে গেলে ওয়েম্বলির আকাশি–নীল অংশ ভাসে আনন্দে।
এরপর সেই সিলভাই টাইব্রেকারের শুরুতে গোল করতে ব্যর্থ হলে আবারও শুরু হয় লাল উৎসব। প্রথম শট নিতে আসা ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করার পর তো মনেই হচ্ছিল টানা চতুর্থবারের মতো এফএ কমিউনিটি শিল্ডে হারতে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর পেনাল্টি শুট আউটেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল সিটি। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডকে ৭–৬ ব্যবধানে হারিয়ে মৌসুমের সূচনাসূচক ট্রফি এফএ কমিউনিটি শিল্ড ঘরে তুলল পেপ গার্দিওলার দল।
কমিউনিটি শিল্ডে আগের তিন বছর আর্সেনাল, লিভারপুল ও লেস্টার সিটির কাছে হেরেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সর্বশেষ এফএ কাপ ফাইনালেও এই ইউনাইটেডের কাছেই হেরেছিল তারা। আজ এরিক টেন হাগের দলকে হারিয়ে সেটারই ‘প্রতিশোধ’ নিল গার্দিওলার দল। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো কমিউনিটি শিল্ড জিতল সিটি।
১১৫ বছরের পুরোনো কমিউনিটি শিল্ডে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা হয় না। সমতায় থাকলে ম্যাচ সরাসরি চলে যায় টাইব্রেকারে। সেখানে বের্নার্দো সিলভা প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হলেও কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হলান্ড, সাভিনিও, এদেরসন, মাথেউস নুনেস, রুবেন দিয়াজ ও মানুয়েল আকানজি জাল খুঁজে নেন।
আটটি করে শটের এই টাইব্রেকারে ইউনাইটেডের জেডন সাঞ্চোর শট রুখে দেন সিটি গোলকিপার এদেরসন। আর জনি ইভান্সের শট চলে যায় বারপোস্টের ওপর দিয়ে।