লা লিগার ট্রফি নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। তিন দিন আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদের সামনে এখন লিগের শেষ সময়টুকু উপভোগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফির জন্য বিশ্রাম নেওয়ার পালা।
এমন সময়ে যে কোনো কোচই নিয়মিত খেলোয়াড়দের যতটা সম্ভব বিশ্রাম দেবেন। কার্লো আনচেলত্তিও দিয়েছেন। আজ গ্রানাদার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে নিয়মিত খেলোয়াড়দের প্রায় সবাইকেই বিশ্রাম নয়তো বেঞ্চে পাঠিয়েছেন রিয়াল কোচ। বায়ার্ন ম্যাচের একাদশ থেকে ১০ জনকেই গ্রানাদা ম্যাচে রাখেননি। এক আন্তনিও রুডিগার ছাড়া পুরো দলটাই তাই মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ের তুলনায় ‘অচেনা’। আর ‘অচেনা’ সেই রিয়ালই গ্রানাদার জালে বল পাঠিয়েছে ৪ বার। দুটি গোল করেছেন ব্রাহিম দিয়াজ, একটি করে ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া ও আর্দা গুলের।
চার ম্যাচ হাতে রেখে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা রিয়াল ম্যাচটি খেলেছে গ্রানাদার মাঠে। এই ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে মায়োর্কা লাস পালমাসকে হারিয়ে দেওয়ায় লা লিগা থেকে অবনমন চূড়ান্ত হয়ে যায় গ্রানাদার। সামনের আসরে নিচের স্তরে খেলতে হবে—এমন খবর মন খারাপ থাকলেও গ্রানাদা লিগ চ্যাম্পিয়নস রিয়ালকে মাঠে নামার সময় গার্ড অব অনার দিতে ভোলেনি।
খেলা শুরুর পর হোসেলু, ব্রাহিম আর গুলেরের আক্রমণভাগ অবশ্য সহজে গ্রানাদার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথম গোল এনে দেন গার্সিয়া। ২৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের লা লিগায় এটি প্রথম গোল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন গুলের।
রিয়ালের পরের দুটি গোলই করেন দিয়াজ। ৪৯তম মিনিটে একটি, আরেকটি ৫৮তম মিনিটে। ম্যাচের বাকি আধা ঘণ্টার বেশি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি।
এ নিয়ে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টানা ১৬ ম্যাচে হারল গ্রানাদা। লা লিগা ইতিহাসে একটি দলের নির্দিষ্ট একটি প্রতিপক্ষের কাছে টানা হারে এটি দ্বিতীয় বাজে। ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে রায়ো ভায়েকানো রিয়ালেরই কাছে হেরেছিল টানা ১৭ ম্যাচ।
লা লিগা পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৩৫ ম্যাচে ৯০। সমান ম্যাচে জিরোনার পয়েন্ট ৭৫। আর ৩৪ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বার্সেলোনা।