কাতার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দের রেশ এখনো রয়ে গেছে আর্জেন্টাইনদের মধ্যে। সেটা আসলে এত দ্রুত কাটারও কথা নয়। এর মধ্যেই আরেকটি বিশ্বকাপের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ফিফা। আজ উন্মোচন করা হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনের এই বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়া।
২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের ভাবনার প্রসঙ্গ এলে প্রায় সবার মনেই একটি প্রশ্ন আসবে—লিওনেল মেসিকে নিয়ে কী ভাবছে তারা? আগামী বিশ্বকাপে কি মেসি খেলবেন, এমন প্রশ্ন তো উঠবেই। তাপিয়াকেও এই প্রশ্ন করেছিল আর্জেন্টিনার পত্রিকা ওলে। সেই প্রশ্নের উত্তরে নির্দিষ্ট কিছু না বললেও মেসিকে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন তাপিয়া।
এই মুহূর্তে ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পিএসজির সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন না বলেই মনে করেন বেশির ভাগ মানুষ। তাঁর সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা চাচ্ছে তাঁকে ফেরাতে। অন্যদিকে সৌদি আরব মেসিকে পেতে ১ বছরে ৫০ কোটি ইউরো দিতে চাচ্ছে।
অনেকে বলছেন, আর্জেন্টিনার হয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে মেসি ইউরোপের ফুটবলেই থেকে যেতে পারেন। কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি কিছুদিন আগে খবর দিয়েছিল, আগামী মৌসুমে সৌদি আরবে খেলার চুক্তি সেরে ফেলেছেন মেসি। যদিও এই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি।
ইউরোপের ফুটবলে থাকলেও মেসি কি আরেকটি বিশ্বকাপ সত্যই খেলতে পারবেন—এমন প্রশ্ন আছে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী থেকে ফুটবল বোদ্ধা, সবার মনেই। কারণ, ২০২৬ সালে মেসির বয়স হয়ে যাবে ৩৮ বছর। সেই বয়সেও তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি টুর্নামেন্টে তিনি খেলতে পারবেন কি না, প্রশ্নটা সেখানেই।
আর্জেন্টিনার ফুটবল কর্তারা এ নিয়ে কী ভাবছেন বা মেসিকে তাঁরা ২০২৬ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রেখেছেন কি না—এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তাপিয়া ওলেকে বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই তাকে মাঠে দেখতে চাই। আমি চাই সে খেলে যাক, খেলাটা উপভোগ করুক। এখন আমরা তাকে খেলাটা উপভোগ করতে দেখছি। সে আনন্দিত ও গর্বিত।’
তাপিয়া এখানেই থামেননি। তিনি বলে চলেন, ‘অনেক বাজে সময়ও গেছে তাঁর, যেগুলো সত্যিই তাঁর মতো একজনের জন্য ঠিক ছিল না। আমি মনে করি, বিশ্বকাপে আমরা সেরা মেসিকে পেয়েছি। প্রতিটি ম্যাচে সে উন্নতি করেছে। সে এমন একটা বয়সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যে সময়ে অনেকেই বলে, “তোমার সময় শেষ।”’
মেসিকে নিয়ে এরপর এএফএর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান, ‘আমরা গর্বিত যে সে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে। আমরা তাকে মাঠে আরও দেখতে চাইব। আগামী বছর আমাদের কোপা আমেরিকা আছে। (তাকে নিয়ে আরও শিরোপা) জিতব, এটাই তো সবার চাওয়া।’