লিওনেল মেসি, আর্লিং হলান্ড এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
লিওনেল মেসি, আর্লিং হলান্ড এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র

হলান্ড ও মেসির মধ্যে যাঁকে বেছে নিলেন গার্দিওলা

‘গোলমেশিন’—ফুটবলে গোল করার দক্ষতায় বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটি দিয়েও যেন ধরা যাচ্ছে না আর্লিং হলান্ডকে। গোল করাকে রীতিমতো ছেলেখেলাতেই যেন পরিণত করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার। আগের দুই মৌসুমের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও শুরু করেছেন গোলবন্যায়।

প্রথম ম্যাচে এক গোল করা হলান্ড গতকাল রাতে দ্বিতীয় ম্যাচেই করলেন হ্যাটট্রিক। অর্থাৎ দুই ম্যাচে তাঁর গোল এখন ৪টি। সিটিতে আসার পর হলান্ডের সর্বমোট গোলসংখ্যা এখন ৯৪, যা এই সময়ে সর্বোচ্চ গোল করা ফুটবলারের তালিকায় দুই নম্বরে থাকা মোহাম্মদ সালাহর চেয়ে ৩৮ গোল বেশি।

গোলের এই ব্যবধানই বলে দিচ্ছে, হলান্ড এই মুহূর্তে কতটা বিধ্বংসী। এমন ধারাবাহিকতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গেও তুলনা হচ্ছে তাঁর। এর আগে হলান্ডের প্রশংসা করতে গিয়ে মেসি-রোনালদোকেও টেনে এনেছিলেন পেপ গার্দিওলা। বলেছিলেন, হলান্ড যেভাবে ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে চলেছেন, তা মেসি ও রোনালদোকে মনে করিয়ে দেয়।

গতকাল রাতেও হলান্ড নিয়ে করা এক প্রশ্নে মেসিকে টেনে এনেছেন গার্দিওলা। ইপসউইচের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ের পর স্প্যানিশ এই কোচকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘হলান্ড কি আমাদের দেখা সবচেয়ে নিঁখুত সেন্টার ফরোয়ার্ড?’ জবাবে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে নিখুঁত সেন্টার ফরোয়ার্ড হচ্ছে মেসি। তার মতো আমি কাউকেই দেখিনি।’

মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছেন আর্লিং হলান্ড

মেসির প্রশংসায় অবশ্য এটুকুতেই থামলেন না গার্দিওলা; তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আপনি জানেন কেন মেসি আমার জীবনে দেখা সেরা খেলোয়াড়? কারণ, সে একজন লড়াকু। সে একজন জন্তুর মতো।’

শুধু সাবেক শিষ্যের প্রশংসাতেই অবশ্য নিজেকে আটকে রাখেননি গার্দিওলা; বর্তমান শিষ্য হলান্ডকে নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘আমি কয়েক সপ্তাহ আগেই বলেছি, সে আগের মৌসুমগুলোর চেয়ে ভালো অনুভব করছে।’

ম্যান সিটির জার্সিতে দশম হ্যাটট্রিক পূরণ করা হলান্ড এখন ১০০ গোল থেকে মাত্র ৬ গোল দূরে। তাঁর এই অবিশ্বাস্য গোলের ধারা নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এই সংখ্যা অবিশ্বাস্য। গোলের দিক থেকে সে মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। এটা আমাদের জন্য দারুণ শক্তি। তাকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আশা করি, সে এখানে অনেক অনেক বছর ধরে থাকবে।’