সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? এই প্রজন্মের মুখে অবশ্য সেরার প্রশ্নে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির নামটাই বেশি শোনা যায়। তবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলে, একক কৃতিত্বে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কিংবা ফ্রান্সের অতৃপ্তি ঘোচানো জিনেদিন জিদানের নামও এই তালিকায় সামনের দিকেই রাখতে হয়। তাই এই বিতর্কের আসলে কোনো শেষ নেই।
তবে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনির কাছে সর্বকালের সেরা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তাঁর কাছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
লুসাইল স্টেডিয়ামে কাল রাতে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসি নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেনও। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেছেন মেসি। বিশ্বকাপে মেসির গোলের সংখ্যা এখন ১১। এ ছাড়া গতকাল আলভারেজকে করানো গোলের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ‘অ্যাসিস্ট’ দাতাও হয়েছেন মেসি। মেসি ও ম্যারাডোনা দুজনেরই অ্যাসিস্ট (গোল বানানো) ৮টি।
এমন মেসিময় এক রাত শেষে স্কালোনি যেন নিজের শিষ্যের প্রশংসা করতে একটুও কার্পণ্য করেননি, ‘মেসি যে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার, এটা নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকেই ভাবতে পারেন আমরা আর্জেন্টাইন বলে হয়তো কথাটা বলি। কিন্তু আসলে তা নয়। যখনই সে মাঠে নামে কোনো না কোনো সুযোগ তৈরি করবে। তাকে খেলতে দেখা তার সতীর্থ, আর্জেন্টাইন সমর্থক, পুরো বিশ্বের জন্য বড় এক অনুপ্রেরণা। তাকে কোচিং করাতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরেই শিরোপা–খরা ঘুচিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার বিশ্বকাপ জেতার ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর দ্বারপ্রান্তে তারা। এমন এক অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি স্কালোনি, ‘আবেগপ্রবণ না হওয়ার চেষ্টা করছি আমি, তবে তা কঠিন। ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে এই স্বপ্নটাই দেখেছি। পরাজয়েও আর্জেন্টাইনরা আমাদের পাশে ছিল। এটা আসলে ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’