সবটাই এখন নিজেদের হাতে ম্যানচেস্টার সিটির। আগামী রোববার ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে জয় টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে পেপ গার্দিওলার দল। তবে সেই ম্যাচে সিটি ড্র করলে বা হেরে গেলে আর অন্যদিকে আর্সেনাল নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেলে শিরোপা হাতছাড়া হবে সিটির। তাই এমন ম্যাচের আগে সিটির খেলোয়াড়দের শান্ত থেকে কাজের কাজটা করতে বলেছেন কোচ গার্দিওলা।
গতকাল কঠিন একটা পরীক্ষার গেছে সিটির। তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষ টটেনহামকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেই পরীক্ষায় ভালোভাবে উতরে গেছে তারা। তবে সিটি টটেনহাম ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে ছিল। পরিসংখ্যানও ছিল তাদের বিপক্ষে।
২০১৯ সালে টটেনহামের নতুন স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর পর এখানে লিগের ম্যাচ জিততে পারেনি সিটি। এমনকি একটি গোলও ছিল না হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের। তবে সেই খরা কাটে আর্লিং হলান্ডের ৫২ মিনিটের গোলে। এরপর ম্যাচের শেষ দিকে আরেকটি গোল করেন তিনি।
প্রথমার্ধে সিটির ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে গার্দিওলার ভাষ্য, ‘প্রথমার্ধে তারা (খেলোয়াড়েরা) ফলের প্রভাব নিয়ে ভেবেছে। আপনি যখন এমনটা করবেন, তখন আপনি প্রিমিয়ার লিগ হারাতে পারেন। আপনি আপনার মান অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারবেন না। তারাও মানুষ, আমি তাদের চাপটা বুঝতে পারি। এমনকি আর্সেনালও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ভালো খেলেনি, তারা জানত তারা যদি ওই ম্যাচটা না জিততে পারে, তাদের আর প্রিমিয়ার লিগ জেতার সুযোগ নেই।’
সিটি ও আর্সেনালের গোল ব্যবধানও কাছাকাছি। আর্সেনালের গোল ব্যবধান ৬১, সিটির ৬০। অবশ্য গোল ব্যবধানের প্রশ্ন তখনই আসবে, যদি শেষ ম্যাচে সিটি ড্র করে ও আর্সেনাল জেতে। তখন দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। আপাতত পয়েন্টে এগিয়ে সিটিই। সিটির পয়েন্ট ৩৭ ম্যাচে ৮৮, আর্সেনালের ৮৬। সিটির এখন তাই নিজেদের সেরাটা দিতে পারলেই হচ্ছে।
গার্দিওলা বলছেন, টটেনহাম ম্যাচের মতো ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে ফুটবলাররা চাপে থাকবেন, ‘রোববার ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে ম্যাচেও এমন হবে। আমরা চাপ অনুভব করব। অ্যাস্টন ভিলা (২০২১-২২) ম্যাচের দিকে তাকান, ১৫ মিনিট আগেও ২-০তে পিছিয়ে ছিলাম। কুইন্স পার্কের বিপক্ষে (২০১১-১২) সের্হিও আগুয়েরোর গোল পেতে ৯৩ মিনিট লেগেছিল। এটাই স্বাভাবিক। এর জন্যই আমরা কথা বলেছি, সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি, আর যা তাদের তাদের করতে হবে সেটা করতে বলেছি। আমরা কিসের জন্য খেলছি আমরা জানি। ভাবনাচিন্তা থাকবে, প্রতিপক্ষও কঠিন। এ কারণেই এটা কঠিন, আমরা জানি।’