আনন্দে ভাসছেন সাবিনা খাতুনেরা। প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর তাঁদের এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই! সংবাদমাধ্যমের আবদার মিটিয়ে একের পর এক দিতে হচ্ছে সাক্ষাৎকার।
তারই মধ্যে আজ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এই সুযোগে সভাপতির কাছে নিজেদের কিছু দাবিদাওয়াও জানিয়ে রেখেছেন সাফজয়ী মেয়েরা।
মূলত বেতন আর অনুশীলন সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে তিন বিভাগে মেয়েরা মাসে বেতন পান ১২, ১০ ও ৮ হাজার টাকা করে। এই অল্প টাকায় চলতে সমস্যা হয়। তাই বেতন বাড়ানোর জোরালো দাবিই তাঁরা তুলেছেন।
এ ছাড়া চেয়েছেন অনুশীলন সুবিধা ও খেলার সরঞ্জাম। সরঞ্জামের মধ্যে আছে জিপিএস সিস্টেমও। বর্তমানে একসেট জিপিএস আছে বাফুফের, ছেলে-মেয়ে সবাই এটা ব্যবহার করেন। মেয়েরা আলাদা করে জিপিএস সেট চেয়েছেন।
সভাপতি সব দাবি পূরণের ব্যাপারেই আশ্বাস দিয়েছেন। সালাউদ্দিন বলেছেন, বাফুফে সাধ্যমতো মেয়েদের সব দাবিই পূরণ করবে। বাফুফে সভাপতি মেয়েদের বলেছেন, এখন থেকে আর দক্ষিণ এশিয়া নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অর্থাৎ আসিয়ান অঞ্চলের দলগুলোর সঙ্গে ভালো করার লক্ষ্য থাকবে। লক্ষ্য পূরণে মেয়েদের তৈরিও হতে বলেছেন তিনি।
কোচ গোলাম রব্বানী তাঁর বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে বাফুফে সভাপতির কাছে দাবি তোলেন। সেটা তিনি কাল বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদমাধ্যমকে হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি যখন বাসায় যাই, বাসার সবাই তখন আমাকে মেহমান মনে করে। আসে আবার চলে যায়। ঠিক আছে, হলাম মেহমান। কিন্তু মাস শেষে বাসায় যদি একটু বেশি দিতে পারি, তাহলে বাসায় গ্রহণযোগ্যতা একটু বেশি থাকে।’
এ সময় বাফুফের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দা ও শিউলি আজিম। মারিয়া বলেন, ‘এই সাফল্য ধরে রাখতে আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।’
এ বছর মেয়েদের আর খেলা নেই। আগামী বছর মার্চে ফিফার নির্ধারিত সূচিতে সাবিনাদের জন্য প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে চায় বাফুফে। সাফ ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরা বিজয়ী মেয়েরা আগামী কয়েকটা দিন বিশ্রাম পাবেন। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের ছুটি।