হানসি ফ্লিকের অধীনে লা লিগায় নিজেদের খুঁজে পেয়েছে বার্সেলোনা। টানা চার ম্যাচে জিতে বার্সা রীতিমতো উড়ছে। সর্বশেষ ভায়াদোলিদের বিপক্ষে বার্সার জয় ৭–০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সার ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। এই হ্যাটট্রিকে নতুন মাইলফলকও গড়েছেন রাফিনিয়া।
অন্যদিকে ম্যাচে কোনো গোল না করলেও জোড়া গোলে সহায়তা করেছেন লামিনে ইয়ামাল। তবে ইয়ামালের পারফরম্যান্সকে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট দিয়ে মাপার সুযোগ নেই। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছেন এই কিশোর। সঙ্গে একটি কীর্তিতে ছাড়িয়ে গেছেন মেসিকেও।
শুরুতে বলা যাক হ্যাটট্রিক হিরো রাফিনিয়ার কথা। গত ১৭ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির কাছে ৪–১ গোলে হারের পর একটি পোস্ট দিয়েছিলেন রাফিনিয়া। সেই পোস্টে হতাশার কথা জানিয়ে রাফিনিয়া লিখেছিলেন, ক্লাব এবং সতীর্থদের জন্য তিনি নিজে মরে যেতে পারেন এবং অন্যকে মেরে ফেলতে পারেন।
সেদিনের সেই কথা হারের যন্ত্রণা থেকে বল হলেও কথাগুলো যে একেবারে অমূলক ছিল না, সেই প্রমাণই দিলেন গতকাল রাতে। যেখানে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকটা আদায় করে নিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। লা লিগায় এটি ২০২৩ সালের ২০ মের পর কোনো ব্রাজিলিয়ানের প্রথম হ্যাটট্রিক। সর্বশেষ হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন আলমেরিয়ার লাজারো ভিনিসিয়ুস।
তবে রাফিনিয়ার আগে বার্সার হয়ে কোনো ব্রাজিলিয়ানের সর্বশেষ হ্যাটট্রিক খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে আরও আগে। লা লিগায় সর্বশেষ এমন ঘটনা দেখা গিয়েছিল সাত বছর আগে। তা–ও যেনতেন নাম নয়, সেই হ্যাটট্রিকটি এসেছিল নেইমারের কাছ থেকে। ২০১৭ সালের ১৪ মে লাস পালমাসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন নেইমার।
এর পর থেকে শুরু হওয়া ব্রাজিলিয়ানদের হ্যাটট্রিক–খরা অবশেষে থামল রাফিনিয়ায়। ম্যাচ শেষে হ্যাটট্রিক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাফিনিয়া বলেছেন, ‘আমি জানি না, এটা আমার সেরা ম্যাচ কি না। তবে এটা সেরাগুলোর একটি। আমি আরও ভালো করার চেষ্টা করব এবং যতটা সম্ভব দলের জন্য করতে চাইব।’
গোলবন্যার এই ম্যাচে গোল না পেলেও যথারীতি আলো ছড়িয়েছেন ইয়ামাল। দুই গোলে সহায়তার পর এখন লা লিগায় তাঁর সহায়তায় গোলসংখ্যা ১০ এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সংখ্যাটি ২০। মাত্র ১৭ বছর ৪৯ দিনে এই কীর্তি গড়েছেন ইয়ামাল।
গোলে সহায়তায় বয়সের দিক থেকে মেসিকেও ছাড়িয়ে গেছেন ইয়ামাল। লা লিগায় ১০ গোলে সহায়তা করতে মেসিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ বছর ২৪৫ দিন বয়স পর্যন্ত। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০ গোলে সহায়তার মাইলফলক স্পর্শের সময় আর্জেন্টাইন মহাতারকার বয়স ছিল ২১ বছর ১২০ দিন।