২০২১ সালের জানুয়ারিতে লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তির অঙ্ক ফাঁসের ঘটনা আলোড়ন তুলেছিল স্প্যানিশ ফুটবলে। ফাঁস হওয়া খবরে জানা গিয়েছিল, ২০১৭ সালে চার বছরের জন্য নবায়ন করা চুক্তিতে মেসির বেতন ছিল ৫৫ কোটি ২২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ ইউরো।
অতি গোপনীয় তথ্যটি সামনে আসার পর তা নিয়ে রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। দুই বছর পর ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে কাতালান পুলিশ বলছে, বার্সেলোনা বোর্ডের সাবেক দুই সদস্য মেসির চুক্তি ফাঁসের ঘটনায় জড়িত। সে সময় অবশ্য শুধু মেসিই নয়, সাবেক বার্সা তারকা জেরার্দ পিকের চুক্তির অঙ্কও ফাঁস হয়েছিল।
কাতালানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কাদেনা সের–এর বরাত দিয়ে ফোর্বস লিখেছে, মেসির চুক্তি ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে বার্সার সাবেক পরিচালক অস্কার গারু এবং আইনি পরিষেবা বিভাগের সাবেক প্রধান রোমান গোমেজ পন্টির জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে কাতালান পুলিশ। সাবেক সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউর অধীনে কাজ করা এ দুজনের কথোপকথন থেকেই ফাঁস হয়েছে চুক্তির তথ্য।
মূলত বার্সাগেট কেলেঙ্কারির তদন্তের সময় যে ডিভাইস জব্দ করা হয়, তা থেকেই মূলত চুক্তি ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাতালান পুলিশ। দুই বোর্ড–কর্তার কথোপকথনের ধরন থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইচ্ছা করেই সেদিন চুক্তির বিবরণ ফাঁস করেছিলেন তাঁরা।
২০২০ সালে উরুগুয়েভিত্তিক কোম্পানি আইথ্রির সঙ্গে চুক্তি করে বার্সা সভাপতি বার্তেমেউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লাবের সুনাম বাড়ানোর কথা বলা হলেও এর আড়ালে তারা বার্তেমেউ ও তাঁর আস্থাভাজনদের সুনাম এবং সাবেক-বর্তমান তারকাদের দুর্নাম করার কাজ করত। এটাই বার্সাগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত।
এই ধরনের অতি গোপনীয় নথি ফাঁস করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও বার্সা বোর্ডের দুই সদস্যের এই কাণ্ডকে আইনের আওতায় আনা হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ, এখানে চুক্তি ফাঁস নয়, বরং বার্সাগেট কেলেঙ্কারির তদন্ত করা হচ্ছে।
কাদেনা সের বলছে, কাতালান পুলিশ এখন বিচারকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য হাতে পাওয়া এই প্রমাণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে। এরপর বিচারকদের সিদ্ধান্তের সাপেক্ষে এ বিষয়ে আলাদা মামলা করা হবে নাকি বার্সাগেটের অধীনেই এর নিষ্পত্তি করা হবে, সেটি ঠিক করা হবে।