কোপা দেল রে ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা দল অ্যাথলেটিক বিলবাও। এ প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয়ে বিলবাও রিয়াল মাদ্রিদের (২০) চেয়েও এগিয়ে। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার (৩১) পরই তাদের স্থান। অথচ এই শিরোপার জন্য বিলবাওয়ের ছিল দীর্ঘ হাহাকার।
বিলবাওয়ের সেই হাহাকার অবশেষে ফুরিয়েছে। সেভিলের লা কার্তুহায় গত শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে মায়োর্কাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বিলবাও। ৪০ বছরের অপেক্ষা শেষে জিতেছে নিজেদের ২৪তম কোপা দেল রে শিরোপা।
এবারের আগে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে সর্বশেষ কোপা দেল রে জিতেছিল বিলবাও। সেটি ছিল এই প্রতিযোগিতায় তাদের ২৩তম শিরোপা। তখন বিলবাওই ছিল সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা দল। কিন্তু এরপরই শুরু হয় লম্বা শিরোপা-খরা। ওইহান সানচেত, ইনাকি উইলিয়ামস, নিকো উইলিয়ামসদের হাত ধরে চার দশকের খরা কেটেছে স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বাস্ক কান্ট্রির ক্লাবটির সমর্থকদের।
শনিবার ফাইনাল শেষে গভীর রাতে সেভিলের হোটেলে গেছে অ্যাথলেটিক বিলবাও। হোটেলে টুকটাক উদ্যাপন করলেও আসল উৎসব ছিল বাকি। পরদিন রোববার ট্রফি নিয়ে নিজেদের শহরে ফিরেছে বিলবাও দল। ওই দিনই ক্লাবটি তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেয়, বৃহস্পতিবার ঘটা করে হবে উদ্যাপন। শহরের নেরভিওন নদীতে বিখ্যাত ‘লা গাবারা’ নামে প্রমোদতরিতে ট্রফি নিয়ে ঘুরবে চ্যাম্পিয়ন দল।
কিন্তু বিলবাও খেলোয়াড়দের যেন তর সইছিল না। আনুষ্ঠানিক উদ্যাপনের এক দিন আগেই, অর্থাৎ গতকাল রাতেই ট্রফি নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছেন সানচেত, উইলিয়ামস, মুনিয়াইনরা। জনস্রোতে মিশে গেছেন তাঁরা। রাতভর ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে পার্টি করেছেন, কয়েকজন খেলোয়াড় নাচে-গানে মেতে ছিলেন।
উৎসবের শুরুটা করেছিলেন বিলবাওয়ের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড ইনাকি উইলিয়ামস। সবার আগে ইনস্টাগ্রাম লাইভে আসেন ইনাকি। তাঁর লাইভ দেখে সতীর্থ ও সমর্থকেরা রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। পরে তাঁরা মিলিত হন বিলবাও সিটি সেন্টারে। সেখানে নাচ-গানের আয়োজন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন আরেক ফরোয়ার্ড ইকার মুনিয়াইন। আসিয়ের ভিয়ালিবার তো সঙ্গে করে ট্রাম্পেট নিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিলবাওয়ের স্প্যানিশ সুপারকাপ জয় উদ্যাপন করতেও একই কাজ করেছিলেন ভিয়ালিবার।
উৎসবের সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সমর্থকদের যদি জরিমানা করা হয়, তাহলে সেই টাকা পরিশোধের ঘোষণা দেন ডিফেন্ডার ইনিগো লেকে।
আর টনি মুনোজ নামের এক সমর্থক জানান, তিনি ইনাকি উইলিয়ামসের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন, ‘আমি এত দিন টেলিভিশনে যাঁকে দেখেছি, আজ (কাল) তাঁকে আমার পাশে পেলাম। আমি ইনাকি উইলিয়ামসের সঙ্গে হেঁটে বাড়িতে এসেছি। ফাইনালে যা কিছু হয়েছে, তাঁর কাছে সব জানতে চেয়েছি। সমর্থকদের এই ভালোবাসার জন্য তিনি আমাকে বারবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’