লিভারপুল-চেলসি ম্যাচে জেতেনি কেউ
লিভারপুল-চেলসি ম্যাচে জেতেনি কেউ

চেলসি ০: ০ লিভারপুল

কোচহীন চেলসিও কাঁপিয়ে দিল লিভারপুলকে

গ্রাহাম পটারকে ছাঁটাইয়ের পর এখনো কোচ নিয়োগ দেয়নি চেলসি। লিভারপুলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অন্তবর্তীকালীন কোচ ব্রুনো সালটরের অধীনে খেলতে নামে ব্লুজরা। তবে কোচহীন চেলসিকে হারানোর সুযোগটা নিতে পারেনি ৬ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা লিভারপুল।

চেলসি অবশ্য দুর্ভাগা না হলে এই ম্যাচে উল্টো হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো ‘অল রেড’দের। দুইবার বল জালে জড়িয়েও ভিএআরের ফাঁদে পড়ে গোলবঞ্চিত থাকতে হয়েছে চেলসিকে। একবার অফসাইডের ফাঁদে এবং অন্যবার চেলসির গোল বাতিল হ্যান্ডবলের কারণে।

স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে দারুণ গতিতে লিভারপুল ডিফেন্সে ঢুকে পড়েছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। যদিও শেষ শটটি আর ঠিকঠাক নেওয়া হয়নি তাঁর। পরের মুহূর্তে আবারও লিভারপুল ডিফেন্স কাঁপিয়ে দেয় চেলসি। কিন্তু এবারও সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে চেলসি। শেষ মুহূর্তে ইব্রাহিমা কোনাটের নৈপুণ্যে বেঁচে যায় লিভারপুল।

লিভারপুল পাল্টা আক্রমণে গিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করলেও চেলসির প্রেসিংয়ের কারণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ক্লপের শিষ্যদের। লিভারপুরের চেয়ে চেলসিকেই বরং অনেক বেশি ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল। ১৯ মিনিটে গিয়ে প্রথম লক্ষ্যে শট নেয় লিভারপুল। যদিও সেটা থেকে কোনো সাফল্য আসেনি।

চেলসি-লিভারপুল ম্যাচের একটি মুহূর্ত

২৪ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন চেলসির রিচ জেমস। ভিএআর পরীক্ষার পর অফসাইডের কারণে অবশ্য বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট ছিল চেলসির দাপটের গল্প। স্বাগতিকদের তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেনি লিভারপুল। এমনকি প্রথম ৩০ মিনিট প্রতিপক্ষের বক্সে বলের স্পর্শও পায়নি অ্যানফিল্ডের দলটি। আক্রমণে অবশ্য চেলসিও খুব একটা ধারাবহিক ছিল না। বিশেষ করে লিভারপুল ডি-বক্সের ভেতর গিয়ে বারবার খেই হারাচ্ছিল তারা।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গিয়ে জ্বলে উঠে লিভারপুল। দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পান দিয়েগো জোতা। তবে বলকে জালের ঠিকানা দেখাতে ব্যর্থ হন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এরপর জো গোমেজের প্রচেষ্টা ঠেকান চেলসি গোলরক্ষক কেপা। একটু পর আবারও বৃথা যায় লিভারপুলের প্রচেষ্টা। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল। চেলসি ঘরের মাঠে এ নিয়ে টানা ৮ ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলহীন থাকল।

অফসাইডের কারণে বাতিল হয় রিচ জেমসের গোল

বিরতির পরম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় চেলসি। লিভারপুলকে চাপে ফেলে ৪৯ মিনিটে কাই হাভার্টজের গোলে লিডও নিয়ে নেয় ব্লুজরা। কিন্তু ভাগ্য এবারও গোল বঞ্চিত করে স্বাগতিকদের। হার্টাজের প্রথম প্রচেষ্টা লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন ঠেকিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ফের বল জালে জড়ান জার্মান ফরোয়ার্ড। কিন্তু এবার গোলটি হয় হাতে বল লেগে। ভিএআরের ফাঁদে বাতিল হয় গোলটি।

এরপর কোনো দলই ভালো সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে ম্যাচের উত্তাপ অনেকটাই কমে আসে। পরিবর্তন এনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে লিভারপুল বস ক্লপ। তবে তেমন কোনো পার্থক্য গড়তে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত চেলসির মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় লিভারপুলকে।