এএফসি অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবলের চূড়ান্তপর্বে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের বিপক্ষে ব্যবধান ২-০, আজ ফিলিপাইনের কাছে ৩–১।
অথচ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে এই ফিলিপাইনকেই ১০-০ গোলে ভাসিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেদিন অসহায়ভাবে ফিলিপাইনের মেয়েরা শুধু বল কুড়িয়ে এনেছে জাল থেকে।
সময়ের স্রোতে ভেসে চার বছরের মধ্যেই ফিলিপাইনের কাছে আজ হারতে হলো। বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে যা বিব্রতকর এক হারই।
ভিয়েতনামের হ্যানয় যুব ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ফিলিপাইনের বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন মিনিটের সময় গোল করেন ইসাবেলা।
যদিও এক মিনিটের মধ্যেই সাগরিকার দারুণ এক গোলে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরায়। প্রায় একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে সাগরিকা ফিলিপাইনের গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে ফেলেন।
৩০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল ফিলিপাইন। কিন্তু পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার রুপা চাকমা। তবে ৩১ মিনিটে আর ঠেকাতে পারেননি। একটি থ্রু থেকে বল পেয়ে ফিলিপাইনকে ২–১ গোলে এগিয়ে দেন নায়না।
ফিলিপাইন তৃতীয় গোলটি পায় ম্যাচের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে। একটি কর্নার থেকে আসে সেই গোল।
এর আগে বাংলাদেশ দুবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। দুবার মিলিয়ে ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা অর্জন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এক ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেক ম্যাচে ৩-২ গোলে হার। বাকি চার ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।
সেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতাই এখন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭। গত এপ্রিলে সিঙ্গাপুরে প্রথম রাউন্ডে ‘ডি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে উঠে আসে বাংলাদেশ।