ব্রাজিল যদি হয় ফুটবলের মাটি, নেইমার এই মুহূর্তে সেই মাটির সেরা তারকা। বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দলের সেই তারকাই চোটে পড়েছেন। পা মচকে ছিটকে গেছেন গ্রুপ পর্ব থেকে। এমন মারাত্মক চোটের পর দেশের মানুষের সহানুভূতি কতটা পাচ্ছেন নেইমার? ‘ফুটবলে নাওয়া-খাওয়া-ঘুম’—এই অভ্যাসের দেশে সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়টির চোট নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন মানুষ?
রাফিনিয়ার কথা শুনলে হতাশই হবেন ব্রাজিলের বাইরের সমর্থকেরা। সহানুভূতি প্রকাশ করবেন কী, ব্রাজিলিয়ানরা নাকি নেইমারের পা ভাঙার জন্য উল্লাস করছেন! এ জন্য নিজের দেশের ফুটবল সমর্থকদের তীব্র কটাক্ষও করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে থাকা রাফিনিয়া খেলেন বার্সেলোনায়। সার্বিয়ার বিপক্ষে ৯ বার ফাউলের শিকার হয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়া নেইমারকে নিয়ে দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ তিনি।
লিওনেল মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টাইনরা আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে পর্তুগিজরা যে আবেগ ধারণ করেন, নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের অনুভূতি এর পুরো উল্টো বলে মনে করেন রাফিনিয়া, ‘আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা মেসিকে ঈশ্বর মনে করে, পর্তুগাল সমর্থকেরা রোনালদোকে মনে করে রাজা। আর ব্রাজিলের সমর্থকেরা নেইমারের পা ভাঙায় উল্লাস করে। কী দুঃখজনক ব্যাপার।’
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজের হতাশা প্রকাশ করে ব্রাজিলে জন্ম নেওয়াটা নেইমারের দুর্ভাগ্য বলেও মন্তব্য রাফিনিয়ার, ‘নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান হয়ে জন্ম নেওয়া। এই দেশ তার প্রতিভা এবং ফুটবলের জন্য যোগ্য নয়।’
ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে গোলের বিচারে পেলের পরেই অবস্থান নেইমারের। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ৯২ ম্যাচে করেছিলেন ৭৭ গোল। ১২২ ম্যাচে ৭৫ গোল নিয়ে তাঁকে টপকে যাওয়ার অপেক্ষায় নেইমার।
তবে কাতার বিশ্বকাপে সেই সুযোগ কতটা পাবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে। ‘জি’ গ্রুপে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে পাওয়া চোটের কারণে সোমবারের সুইজারল্যান্ড ম্যাচ তো মিস করবেনই, ক্যামেরুনের বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়েও শঙ্কা আছে। ডান পায়ের গোড়ালির চোটে কত দিন তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে, সেটিও এখনো অস্পষ্ট।