বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ
বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ

বার্সেলোনার ‘চাপ’ নিতে চাননি মেসি, মনে করেন জাভি

গত সপ্তাহেই বার্সেলোনায় লিওনেল মেসির সম্ভাব্য ফেরা নিয়ে কথা বলেছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। মেসির সাবেক সতীর্থ ও বার্সেলোনার বর্তমান কোচ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাতেও মেসিকে রেখেছিলেন। মুন্দো দেপোর্তিবোকে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মেসির সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। মেসির গন্তব্য এখন আর বার্সেলোনা নয়, এমনকি বিশাল প্রস্তাবের সৌদি ক্লাব আল হিলালও নয়। আর্জেন্টাইন তারকা যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে।

মেসিকে বার্সেলোনায় না পাওয়াটা জাভির জন্য ধাক্কাই। তবে তিনি মেনে নিচ্ছেন বিষয়টা। তাঁর মতে, বার্সেলোনায় মেসির না ফেরা পুরোপুরি তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। সেই সঙ্গে তিনি মনে করেন, বার্সেলোনায় খেলার ‘চাপ’ এড়াতেই মেসি ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন।

এক ফ্রেমে জাভি ও মেসি

মেসির বার্সেলোনায় না ফেরার পেছনে পিএসজির দুই বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন জাভি। যুক্তরাষ্ট্রের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস টুইচে তিনি বলেন, ‘পিএসজিতে গত দুই বছর মোটেও ভালো সময় কাটাতে পারেননি মেসি। খুব সম্ভবত সে এখন আর সেই চাপ নিতে চাচ্ছে না বলেই বার্সেলোনায় ফেরেনি।’

মায়ামিতে যাওয়াটা মেসির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বার্সেলোনা কোচ সে ব্যাপারে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল, ‘মায়ামিতে যাওয়াটা পুরোপুরি মেসির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতিও আমাদের সহায়ক ছিল না। মেসির সিদ্ধান্ত আমাদের সম্মান করতে হবে। সে তো ইতিহাসেরই সেরা।’

মেসির সঙ্গে যে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, সেটি গত সপ্তাহে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছিলেন জাভি। কিন্তু সবশেষ কয়েক দিনে নাকি মেসির মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেন তিনি, ‘মেসির কাছে পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার ছিল না। তবে আমাদের উচিত সেটিকে সম্মান করা। আমরা অনেক সময় আরেকজনের অবস্থা ভেবে দেখি না। আমাদের মধ্যে অপরের প্রতি সহানুভূতির অভাব থাকে। দেখুন, মেসি যে মাপের খেলোয়াড়, তাঁকে সব সময় চাপে থাকতে হয়, সতর্ক থাকতে হয়। সে নির্ভার থাকতে পারে না। আচরণও করতে হয় নিখুঁত। প্রতিটি বিষয়ে তাঁকে সেরা হতেই হয়।’

খেলোয়াড়ি জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত পার করেছেন জাভি ও মেসি।

মেসি বার্সেলোনায় ফিরবেন, এটা নিয়ে সমর্থকেরা রীতিমতো মুখিয়ে ছিলেন, কিন্তু সেটি হয়নি। সমর্থকেরা বেশ হতাশই। তাঁদের প্রতিও সহানুভূতি আছে জাভির, ‘মেসির ফেরা নিয়ে একটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সবাই দারুণ রোমাঞ্চিত ছিল। মেসি নিজেও রোমাঞ্চিত ছিল। ক্লাবও খুব করেই চেয়েছিল এটা। কিন্তু অনেক সময় অনেক কিছু হাতে থাকে না। পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে চাওয়াটা বাস্তব হয় না।’

বার্সেলোনায় ফিরলে মেসিকে অনেক চাপ নিতে হতো, সেটিই হয়তো মেসি চাননি বলে মনে করেন জাভি, ‘বার্সেলোনায় ফিরলে তাকে ১০ নম্বরের মধ্যে ১০-ই পেতে হতো। সেটি হয়তো সে চায়নি। মেসি হয়তো এখন কম চাপের মধ্যে থেকে খেলাটা চালিয়ে যেতে চায়।’