অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ
অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ

অ্যাস্টন ভিলার কাছে কৃতজ্ঞ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ কোথাও যাবেন না

বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার তিনি, জিতেছেন ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে নিয়ে বড় দলগুলোর আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। আগামী দলবদলে তাঁকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করবে অনেক দলই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টটেনহাম তো এর মধ্যেই মার্তিনেজকে পাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু মার্তিনেজ কী চান? অ্যাস্টন ভিলার আর্জেন্টাইন গোলকিপার এত দিন চুপ করেই ছিলেন। নিজের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। অবশেষে ভিলা পার্কে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্তিনেজ, যা বলেছেন, সেটার সারমর্ম একটাই—অ্যাস্টন ভিলায় তিনি সুখেই আছেন, এখান থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই।

৩০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন গোলকিপার আর্সেনাল থেকে অ্যাস্টন ভিলায় নাম লেখান ২০২০ সালে। এরপরই যেন তাঁর ভাগ্যের চাকা গেছে ঘুরে। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন, আর্জেন্টিনাকে ২০২১ কোপা আমেরিকা জেতাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। ভালো খেলেছেন লা ফিনালিসিমায়ও। এরপর তো গত বছরের বিশ্বকাপ-রূপকথা!

সব মিলিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য পয়া ক্লাবই মনে করেন মার্তিনেজ। এমন একটি ক্লাব এখনই ছেড়ে যাওয়া চিন্তাও করতে পারেন না আর্জেন্টাইন তারকা। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য মিররকে বলেছেন, ‘এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর আমার ক্যারিয়ার–চূড়া ছুঁয়েছে। আমি সব সময়ই বলে এসেছি, এই ক্লাবের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং এখানে থাকতে ভালোবাসি।’

অ্যাস্টন ভিলার হয়ে শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই ক্লিনশিট আছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের

মার্তিনেজের ভিলা পার্কে থেকে যেতে চাওয়ার কারণ শুধু এটাই নয়। তিনি যোগ করেছেন, ‘এই ক্লাবে আমার পরিবারও সুখী। আমার ছেলেটা ফুটবল বলতে অজ্ঞান। সে এখানকার একাডেমিতে অনূর্ধ্ব-৬ দলে খেলে। এখানে আমরা যে সময় কাটাচ্ছি, তা নিয়ে খুশি। আশা করি, এখানে আরও অনেক বছর থাকতে পারব।’