অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে বিদায় করে চমক দেখিয়েছে ইসরায়েল
অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে বিদায় করে চমক দেখিয়েছে ইসরায়েল

বড়দের পর ছোটদের বিশ্বকাপেও ব্যর্থ ব্রাজিল

গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে কান্নাভেজা চোখে বিদায় নিয়েছিলেন নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা। সেই হারের যন্ত্রণা পুরোটা না হলেও কিছুটা ভোলার সুযোগ এসেছিল অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে। কিন্তু সেখানেও পারল না ব্রাজিল। দুবার এগিয়ে গিয়েও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। ইসরায়েলের বিপক্ষে ৩-২ গোলের অঘটনের হারে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হলো লাতিন পরাশক্তিদের।

আর্জেন্টিনার সান হুয়ানে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে মার্কোস লিওনার্দোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কিন্তু ৪ মিনিট ইসরায়েলকে সমতায় ফেরান ইনান খলিলি। ৯১ মিনিটে ব্রাজিলকে আবার এগিয়ে দেন মাথাউস নাসিমেন্তো। কিন্তু ২ মিনিট পর ফের সমতায় ফেরে ইসরায়েল।

পরে ম্যাচের ১০৫ মিনিটে ডেভিড তুর্গেমেন গোল করে এগিয়ে দেন ইসরায়েলকে। ৩-২ গোলের এই ব্যবধান অবশ্য আরও বাড়াতে পারত ইসরায়েল। কিন্তু ১১৪ ও ১১৫ মিনিটে পরপর দুবার পেনাল্টি মিস করে তারা। অন্যদিকে ম্যাচের বাকি সময়ে আর গোল পায়নি ব্রাজিলও। শেষ পর্যন্ত বিদায়ের যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে। এর আগে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও স্বাগতিক আর্জেন্টিনাও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।

হতাশ করেছে ব্রাজিল

ঐতিহাসিক এ জয়ের পর ব্রাজিলের চেয়ে নিজেদের সেরা দল বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের কোচ অফির হাইম। বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে চান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ভালো দল ছিলাম এবং জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল। তবে দুটি পেনাল্টি মিসের পর পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছিল। আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী ছিলাম এবং খেলোয়াড়দেরও একে অপরের ওপর বিশ্বাস ছিল। আমাদের দলে দারুণ সব প্রতিভাবান ও মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, যাদের হৃদয়ও বেশ বড়। আমরা এখন ফাইনালে খেলতে চাই।’

অন্যদিকে ম্যাচ হারের পর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মারলন গোমেজও কৃতিত্ব দিয়েছেন ইসরায়েলকে। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েল ব্রাজিলের চেয়ে ভালো দল ছিল। আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। আমরা দুবার এগিয়ে গিয়েও ধরে রাখতে পারিনি। আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম।’