ব্রাজিল দল অনুশীলন করছে আর্সেনালের মাঠে
ব্রাজিল দল অনুশীলন করছে আর্সেনালের মাঠে

ভিনিকে আবার আক্রমণ করলে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি ব্রাজিল কোচের

ব্রাজিল কোচ দরিভাল বলেছেন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আবারও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হলে তাঁর দলকে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মন্তব্যটি এমন সময়ে করেছেন, যখন ইংল্যান্ড ও স্পেনের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় ব্রাজিল। এর মধ্যে স্পেনের মাটিতে লাগাতারভাবে হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন ভিনিসিয়ুস।

দরিভাল ব্রাজিলের কোচ হওয়ার পর দলের হয়ে তাঁর প্রথম সফর।

ইউরোপ সফরে বের হওয়া ব্রাজিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে শনিবার ওয়েম্বলিতে। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ মঙ্গলবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। মাদ্রিদের ম্যাচটির উদ্দেশ্য বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি—এমনটাই জানিয়েছে স্পেন ও ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন।

এ বিষয়ে গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিল ফুটবল দলের নিজস্ব উদ্যোগের কথা জানান দরিভাল, ‘এ ধরনের মুহূর্তে সব তথ্যের বিশ্লেষণ ও ভারসাম্য রক্ষা করা দরকার। তবে এ ধরনের ঘটনা যদি আবারও ঘটে, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভিনির এখনো বয়স কম। সে এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি। ওর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ মানা যায় না।’

২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি মাসে কোনো না কোনো মাঠে বর্ণবাদী মন্তব্য বা স্লোগানের শিকার হচ্ছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভিনি প্রতিক্রিয়া দেখানোর জেরে বর্ণবাদী আক্রমণের পরিমাণ আরও বেড়েছে। সম্প্রতি ব্যাপারটি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে রিয়াল মাদ্রিদ খেলছে না এমন ম্যাচেও ভিনিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ ও লা লিগা কর্তৃপক্ষ স্পেনের কৌঁসুলি কার্যালয়ে অভিযোগে জানিয়েছে, বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ভিনিকে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা রোধে উয়েফাকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন ভিনি। যদিও ২০২৩ সালেই ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে একই ধরনের ঘটনার পর তোলপাড় উঠলে ফিফাও কঠোর বার্তা দিয়েছিল।

ব্রাজিল কোচ দরিভাল

ব্রাজিল কোচের মতে, ভিনির বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আক্রমণ সীমা ছাড়িয়ে গেছে, ‘দুঃখজনকভাবে পুরো পৃথিবীজুড়েই বর্ণবাদ রয়ে গেছে। এখনো তাচ্ছিল্যের ব্যাপারটা বর্তমান। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে। ভিনির সঙ্গে যে ঘটে চলেছে, সেটা এরই মধ্যে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এমনিতে স্পেনের মানুষ খুবই আন্তরিক, অপরকে সম্মান দেয়। সবচেয়ে বড় কথা, শান্তিপূর্ণ মানুষ তারা। কিছু দুষ্কৃতকারীর কারণে তাদের সুনাম এভাবে নষ্ট হওয়াটা মানায় না।’

কর্তৃপক্ষ তৎপর হলে যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবেই, সেটা তুলতে ধরতে গিয়ে দরিভাল বলেন, ‘পুলিশ চাইলে যারা এসব করে, তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। এটা অনেকটা আমাদের দেশের মতোই। যেখানে প্রচুর মানুষ প্রতিদিনই ভুগছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অকার্যকারিতা আর অদক্ষতার কারণে নীরব থাকে।’