এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছিল উইলি কার্কের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর নারী দলের কোচ পদ থেকে কার্ককে ছাঁটাই করেছে লেস্টার সিটি। গতকাল এ খবর জানিয়েছে ইংল্যান্ডে মেয়েদের শীর্ষ লিগে (উইমেনস সুপার লিগ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ক্লাবটি।
লেস্টার চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, মেয়েদের দল আর কার্কের হাতে নেই। ক্লাবের ‘অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া’য় কার্ক সাহায্য করছেন বলে তখন জানিয়েছিল লেস্টার। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ সে সময় জানিয়েছিল, দলের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে কার্কের বিরুদ্ধে। এরপর গতকাল বিবৃতির মাধ্যমে কার্ককে ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করল লেস্টার, ‘অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি ক্লাবের সম্মান দেখানোর বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী উইলি দলের আচরণবিধি এমন মাত্রায় ভেঙেছেন যে তাঁকে আর এই পদে (কোচ) রাখা যাচ্ছে না।’
লেস্টার নারী দলের সর্বশেষ তিন ম্যাচে কার্ককে ডাগআউটে দেখা যায়নি। বিবিসি স্পোর্ট কার্কের ছাঁটাই হওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পায়নি। এভারটনের সাবেক কোচ কার্ক ২০২২ সালের নভেম্বরে লেস্টারের নারী দলের পরিচালক পদ থেকে কোচের দায়িত্বে আসেন। লেস্টার জানিয়েছে, যে আচরণবিধি ভাঙায় কার্ককে ছাঁটাই করা হয়েছে, সেটি ২০২৩–২৪ মৌসুম শুরুর আগেই ‘কার্যকর’ করা হয়েছে।
নারী ফুটবলে খেলোয়াড়–কোচ প্রেমের সম্পর্ক কেন এখনো অগ্রহণযোগ্য
বিসিবি জানিয়েছে, কোচ–খেলোয়াড় প্রেমের সম্পর্ক অবৈধ নয়, যদি না কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়। তবে সম্পর্কে জড়ানোর পর আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠতে পারে। উইমেনস সুপার লিগে (ডব্লিউএসএল) লাইসেন্স পেতে ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে আচরণবিধির এই শর্ত বেঁধে দিয়েছে। এই আচরণবিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, সেটি নিশ্চিত করতে প্রতিটি ক্লাবই একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।
তবে নারী ফুটবলে খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে সমালোচনার চোখেই দেখা হয়। কারণ, স্কোয়াডের মধ্যে এই সম্পর্ক ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করে। ইংল্যান্ড নারী জাতীয় দলের কোচ সারিনা ভিগমান এমন সম্পর্ককে ‘খুবই অনুপযুক্ত’ এবং ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলেছেন। শুধু ভিগমান নয়, ইংল্যান্ডে মেয়েদের সুপার লিগে বেশ কয়েকজন কোচও এমন সম্পর্কের বিপক্ষে। অ্যাস্টন ভিলার কোচ কার্লা ওয়ার্ড গত ১৪ মার্চ এ নিয়ে বলেছিলেন, খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ‘সীমারেখা অতিক্রম করে’ এবং এটি ‘অগ্রহণযোগ্য।’
কার্ক ছাঁটাই হওয়ার আগে কার্লা বলেছিলেন, তিনি মনে করেন খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কারণে কোচের ছাঁটাই হওয়া ‘শতভাগ’ উচিত। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) নারী ফুটবলের পরিচালক ব্যারনেস ক্যাম্পবেল ২০১৮ সালে বলেছিলেন, খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তাঁর কাছে ‘দুশ্চিন্তার বিষয়।’