বার্সেলোনায় ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের জার্সি নম্বর ২১। নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলেও একই। নিজের ২১তম জন্মদিনে দাদা মারা যাওয়ায় সেটিরই স্মরণে ২১ সংখ্যাটিকে জার্সি নম্বর হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে লুই ফন গালের ভাবনার পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটলে বিশ্বকাপে জার্সি নম্বর বদল হচ্ছে তাঁর। পছন্দ বা পজিশন ধরে নয়, বয়স হিসাব করেই যে জার্সি নম্বর বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাচ কোচ।
ফন গালের ভাবনা অনুযায়ী, কাতার বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের ১ নম্বর জার্সি পরবেন রেমকো পাসভির। গোলকিপার হিসেবে জার্সিটি তিনি পেতেই পারতেন। তবে আয়াক্স গোলকিপারের প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ।
ডাচ গোলবারের নিচে এগিয়ে আছেন ফেনুর্ডের হয়ে ছন্দে থাকা জাস্টিন বিইলো। তবে ২৬ সদস্যের দলে সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে ১ নম্বর জার্সিটি পাসভিরই পাচ্ছেন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বয়স দিয়ে জার্সি নম্বরের বণ্টনের কথা জানিয়ে ফন গাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আগেই কথা বলেছি আমি। ওদের এমন একটা নম্বর দেওয়া হয়েছে, যেটি বয়সের সঙ্গে মিলে যায়।’
সাধারণত প্রথম একাদশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের জার্সি নম্বর বণ্টন করা হয় আগে। এরপর অন্যদের জার্সি নম্বর দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে দলে খেলোয়াড়টির অবস্থান, মাঠের পজিশন, তারকামূল্য—এই সবই বিবেচনায় নেওয়া হয়। বয়স বিবেচনা নিয়ে জার্সি নম্বর বণ্টনের বিষয়টি কিছুটা অদ্ভুতই।
ফন গালের মুখে বয়স ধরে জার্সি নম্বর দেওয়ার কথা শুনে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি মজা করছেন? বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আয়াক্সের সাবেক কোচ জবাব দেন, ‘মজা করছি না। সংবাদ সম্মেলনে আমি কখনো মজা করি না। বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কাজটি করা হয়েছে।’
ফন গাল অবশ্য প্রকাশ করেননি কোন খেলোয়াড়কে কত নম্বর জার্সি দেওয়া হয়েছে। তবে তারকা ফুটবলারদের সবারই জার্সি নম্বরই আগের মতোই থাকতে পারে। যেমন মেম্পিস ডিপাই ১০ নম্বর, ডি ইয়ং ২১ নম্বর, ম্যাথিয়াস ডি লিট ৩ ও ভার্জিল ফন ডাইক ৪ নম্বর জার্সিই পেতে পারেন।
বয়স বিবেচনায় ২৬ নম্বর জার্সি পেতে পারেন চাভি সিমন্স। প্রথমবারের মতো নেদারল্যান্ডস দলে সুযোগ পাওয়া এই ফরোয়ার্ডের বয়স ১৯ বছর, দলে সর্বকনিষ্ঠ।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ২১ নভেম্বর, সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ‘এ’ গ্রুপে অপর দুই ম্যাচে ২৫ নভেম্বর তাদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর ও ২৯ নভেম্বর স্বাগতিক কাতার।