ফেবারিট হিসেবেই বিশ্বকাপ খেলতে কাতার গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয় নেইমারদের। হতাশাজনক বিদায়ের পর চাকরি ছাড়তে হয় কোচ তিতেকেও।
এখন দলকে পুনর্গঠিত করতে নতুন কোচের সন্ধানে আছে সেলেসাওরা। তিতের বিদায়ের পর বেশ কিছু নাম সামনে এলেও, এখন শোনা যাচ্ছে পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনিওকে কোচ হিসেবে পেতে চায় লাতিন জায়ান্টরা। দুই পক্ষের আলাপও নাকি শুরু হয়েছে।
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা রিপাবলিকার দেওয়া খবর অনুযায়ী, মরিনিও এখন বড়দিন উদ্যাপন করতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে পর্তুগাল অবস্থান করছেন। তাঁর সঙ্গে আলাপ চূড়ান্ত করতে এক মধ্যস্থতাকারীকে পাঠাচ্ছে ব্রাজিল জাতীয় দল। যাঁর ইতিমধ্যে সাও পাওলো থেকে পর্তুগালের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা।
তারকাসমৃদ্ধ দলটিকে সামলাতে মরিনিওর মতো একজন অভিজ্ঞ কোচকেই নাকি খুঁজছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। এর আগে তারা নাকি ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা এবং ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে চেয়েছিল। যদিও দুই পক্ষ থেকে এসেছে নেতিবাচক উত্তর। এখন তাই এএস রোমার কোচ মরিনিওকেই আনতে চাইছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সিবিএফ সভাপতি এদনালল্দো রদ্রিগেজ নিজেই নাকি কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সে লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় একটি এজেন্টকে বিশ্বসেরা কোচদের নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন।
মধ্যস্থতাকারীর পক্ষ মরিনিওর এজেন্ট হোর্হে মেন্দেসের সঙ্গে বসে চুক্তির যাবতীয় বিষয় নিয়ে কাজ করবে। সব ঠিকঠাক হলে জানুয়ারির মধ্যে নতুন কোচ নিয়োগ দিতে চায় ব্রাজিল। জানা গেছে, রোমায় মরিনিও নিজেও পুরোপুরি খুশি নন। তাই উপযুক্ত প্রস্তাব পেলে তিনিও চান দল বদলাতে।
তবে মরিনিওকে কোচ হিসেবে আনতে গেলে ব্রাজিলকে লড়াই করতে হতে পারে পর্তুগালের সঙ্গে। ব্রাজিলের মতো পর্তুগালও বিদায় নিয়েছিল বিশ্বকাপের শেষ আট থেকে। এরপর চাকরি ছাড়েন দলটির কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। গুঞ্জন আছে, স্বাগতিক কোচ মরিনিওকে পেতে চায় তারাও।
এদিকে ব্রাজিলের বাইরে থেকে কোচ আনা নিয়ে শুরু হয়েছে আরেক বিতর্ক। রোনালদো নাজারিওর মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড় বিদেশি কোচের পক্ষে থাকলেও, এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন আরেক কিংবদন্তি রিভালদো। বিশ্বকাপজয়ী রিভালদো বিদেশি কোচ নিয়োগকে ব্রাজিলের কোচদের জন্য ‘অসম্মানজনক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।