বর্তমান সময়ের ফুটবলে সবচেয়ে ভয়ংকর ত্রয়ী কারা, এমন প্রশ্ন এলে সবার আগে আসবে লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম। তবে এই তিন ফুটবলারের মধ্যেও কিন্তু তুলনা চলে। কে এগিয়ে তা নিয়ে বিতর্ক হয়। সে বিতর্কে কেউ থাকেন নেইমার, মেসির পক্ষে, আবার কেউ থাকেন এমবাপ্পের পক্ষে। নেইমার আর মেসির ক্যারিয়ার আছে সায়াহ্নে। অন্যদিকে এমবাপ্পের ক্যারিয়ারের এখনো অনেক বাকি। এরই মধ্যে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপও জিতেছেন এই ফুটবলার।
অন্যদিকে মেসি ও নেইমার বিশ্বকাপ জিততে পারেননি, জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা চ্যাম্পিয়নস লিগ। এমবাপ্পে আবার এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেননি। ফুটবলে শিরোপা, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের পাশাপাশি আরও অনেক বিষয় থাকে। দানি আলভেজ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই এমবাপ্পের তুলনায় মেসি ও নেইমারকেই এগিয়ে রাখছেন। যদিও দানি আলভেজের চোখে এই তিন স্ট্রাইকারই ফেনোমেনন (বড় তারকা)।
একসময় ‘এল ফেনোমেনন’ তকমাটা নিজের করে নিয়েছিলেন ব্রাজিলের রোনালদো নাজারিও। প্রতিপক্ষের গোল সীমানায় তাঁর ক্ষিপ্রতা আর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের কারণে তাঁকে এই নামেই ডাকা হতো। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেদের সঙ্গে পরে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এই তকমা।
দানি আলভেস মনে করেন এমবাপ্পেও ফেনোমেনন হলেও ঠিক মেসি আর নেইমারের পর্যায়ে তিনি নন, ‘এমবাপ্পে একজন ফোনোমেনন (তারকা), তবে সে ঠিক মেসি আর নেইমারের পর্যায়ের না। এমবাপ্পে যদি নেইমার ও মেসিকে বল দেয়, তাহলে সে ১৫০টা গোল করতে পারবে।’
নেইমার-মেসি-এমবাপ্পে তিনজনের সঙ্গেই খেলেছেন আলভেজ। কাছ থেকেই এই তিন ফুটবলারকে দেখেছেন তিনি।
সেই দেখা থেকেও মেসি-নেইমারকে এগিয়ে রাখছেন আলভেজ, ‘নেইমার ও মেসি অন্য রকম। তারা এমন কিছু করতে পারে, যা অন্য কেউ পারে না। গ্রেট ফুটবলারদের সতীর্থদের সম্পর্কে জানতে হবে, তাদের সামর্থ্য সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। যখন আমি মেসির সঙ্গে খেলেছি, তখন মেসিকেই বল দিতাম, নেইমারের বেলাতেও ঠিক তা-ই করতাম।