কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হয়েছে প্রায় তিন মাস হলো। কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইনদের আনন্দের রেশ এখনো কাটেনি। একই রকমভাবে এখন পর্যন্ত ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হারার হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ফ্রান্স।
আর্জেন্টাইনদের আনন্দের রেশ যে কাটেনি, তা বোঝা যায় কদিন পরপরই বিশ্বকাপের নানা বিষয় নিয়ে দলটির বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। আর ফরাসিদের ঘা যে এখনো দগদগে, সেটা বোঝা গেল এত দিন পরও লিওনেল মেসিদের ফাইনালের উদ্যাপন নিয়ে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমের হতাশা প্রকাশেই।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালে লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়ার দুই গোলে ৩৬ মিনিটের মধ্যে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পের দেড় মিনিটের ঝড়ে ম্যাচে ফেরে ফ্রান্স।
অতিরিক্ত সময়েও ছিল নাটকীয়তা। মেসি আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেওয়ার ১১৮ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ফ্রান্সকে আবার সমতায় ফেরান এমবাপ্পে।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪–২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর উদ্যাপনটা যেন একটু উন্মত্তই হয়ে গিয়েছিল দলটির খেলোয়াড়দের।
মেসি–এমিলিয়ানো মার্তিনেজদের সেই উদ্যাপনকে বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে অনেকের কাছেই। ফাইনালের পর উদ্যাপনে এমবাপ্পেকে নিয়ে কৌতুক করেছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। বিশেষ করে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্তিনেজ।
এই উদ্যাপন অনেকেরই পছন্দ হয়নি। এত দিন পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। তাঁর আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের এই উদ্যাপন ছিল ‘অগ্রহণযোগ্য’! আরএমসি স্পোর্টসকে দেশম বলেন, ‘তাদের ছাদে উঠে লাফালাফি আর উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়াতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এতে শ্রদ্ধাবোধের ছিটেফোঁটাও আর থাকেনি। এমনটা কারও প্রাপ্য নয়, বিশেষ করে কিলিয়ানের। এটা ছিল অগ্রহণযোগ্য আচরণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়ানো।’