ফুটবল এমন এক খেলা, যেখানে গোল হওয়া না হওয়ার আনন্দ-বেদনার সঙ্গে জটিলতম সব ফরমেশন ও কৌশলের মজা পাওয়া যায়। যে যার জায়গা থেকে খেলাটাকে উপভোগ করতে পারার এই দুর্দান্ত সর্বজনীনতা খেলাটাকে দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্টে পরিণত করেছে। আর নিঃসন্দেহে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর হলো বিশ্বকাপ ফুটবল। চার বছর পরপর হওয়া এই টুর্নামেন্টের সময় গোটা পৃথিবীর নজর থাকে কে জিতল, কে হারল। খেলাটির সব রকম মানবীয় আবেগকে ধারণ করার যে ক্ষমতা, এ কারণে বিশ্বকাপ ফুটবল শুধু হার-জিতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই ইতিহাস তো মানুষেরই ইতিহাস। কাতারে আর কিছুদিন পরই শুরু হবে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। তার আগে ফিরে তাকিয়ে ১৯৩৮ বিশ্বকাপের গল্প শোনা যাক।
ত্রিশ দশকের শেষ দিকে, সালটা ১৯৩৮। সে বছর রঙিন ছবি তোলার প্রযুক্তি পৃথিবীতে এলেও রাজনীতিতে সাদা ও কালোর বিভাজনে প্রকট ছিল। জার্মানিতে হিটলার, স্পেনে ফ্রাঙ্কো, ইতালিতে মুসোলিনি, ভারতবর্ষে ইংরেজ আর লাতিন আমেরিকাজুড়ে চলছিল মার্কিন করপোরেটদের ভয়াল শাসন ও শোষণ।
অস্ট্রিয়ার ফুটবলার ম্যাথিয়াস সিন্ডলারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। তবে অনেকে মনে করতেন, সে সময় দুনিয়ার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন লিওনিদাস—ব্রাজিলের কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার, কামারের সন্তান। প্রচণ্ড গতি, ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ছিল তুখোড় ফুটবল মেধা। বিশ্বকাপ চলাকালীন এক ফরাসি সাংবাদিক তো বলেই ফেলেন, এই ব্রাজিলিয়ান কালো মানুষটির আসলে ছয়টি পা আর সেগুলো দিয়ে সে ‘কালো জাদু’ করে। বেচারাকে দোষ দিয়ে লাভ কি! লিওনিদাসের গতি ও ক্ষিপ্রতা দেখে সে রকমই নাকি মনে হতো স্বয়ং মাঠে থাকা খেলোয়াড়দেরই!
এই আধুনিক যুগেও, এত এত প্রযুক্তি, খেলোয়াড়দের শারীরিক আর দক্ষতাগত এত উৎকর্ষের পরেও ‘বাইসাইকেল কিক’ থেকে গোল এখনো ফুটবলপ্রেমীদের চোখ কপালে তুলে দেয়। যতবার বাইসাইকেল কিকে গোল হয়, ততবার লোকে মুগ্ধ হয়। লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে জন্ম নেওয়া এই অনিন্দ্যসুন্দর কৌশল লিওনিদাসের কাছে ছিল ‘দুধভাত’।
আর লিওনিদাসের বাইসাইকেল কিকগুলো নাকি এতই সুন্দর ছিল যে বেশির ভাগ সময় সেগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গোলকিপাররা তালি দিতে দিতে জালে জড়ানো বল কুড়িয়ে আনতেও ভুলে যেতেন!
অবশ্য বিশ্বকাপটা লিওনিদাসের জেতা হয়নি। তবে তাঁর দল ব্রাজিল অন্তত ১৯৩৮ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। আগেরবারের আসরের মতো এই আসরও ছিল ইউরোপে (ফ্রান্স), আর টানা দুবার একই মহাদেশে বিশ্বকাপ হওয়ায় রাগে সেবার অংশ নেয়নি প্রথমবারের দুই ফাইনালিস্ট উরুগুয়ে আর আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার ‘ন্যায্য’ দাবি থেকে বঞ্চিত হওয়ায়, জার্মানির বার্লিনে ১৯৩৬ সালের কংগ্রেসে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন ফ্রান্সের হাতে তুলে দেওয়ায় বুয়েনস এইরেসের ফিফা কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক ভাঙচুর ও গন্ডগোল হয়েছিল, শেষতক দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে সামলাতে হয়।
লাতিন আমেরিকা থেকে ১৯৩৮ বিশ্বকাপে আর একটি দেশই অংশ নিয়েছিল, কিউবা। এখন পর্যন্ত সেটাই তাদের একমাত্র বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার নজির। আরেকটি অ-ইউরোপীয় দেশ ছিল, সেটি এশিয়া থেকে খেলা প্রথম দেশ, ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ, যার বর্তমান নাম ইন্দোনেশিয়া।
এই দেশটিও আর কখনো বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি। আর সেই সঙ্গে ওদের ভাগ্যে জোটে এক অনাকাক্ষিত রেকর্ড। ৫ জুন, রেইমসের ভেলদেরামো স্টেডিয়ামে দুরন্ত হাঙ্গেরির কাছে ৬-০ গোলের হারই এখন পর্যন্ত তাদের একমাত্র বিশ্বকাপ ম্যাচ। এই রেকর্ড ভাঙার আর সুযোগ নেই।
ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ছিলেন ইউরোপীয়। তবে এই দেশই প্রথম এশিয়ার দল হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নেয়, আর দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা নিয়েও এ মহাদেশ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মাত্র তিনটি দল (১৯৫৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়া আর ১৯৬৬ সালে উত্তর কোরিয়া)।
বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলো কেন বেহাল
মোটাদাগে চারটি কারণে এশিয়া মহাদেশে ফুটবলের বিস্তার হয়নি। প্রথমত, এশিয়ার দেশগুলো একেবারে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত মূলত কৃষিভিত্তিক ছিল। ফুটবল–সংস্কৃতি তথা ক্লাবের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এশিয়ার লোকেরা শহরকে ভেবেছে নেহাত কর্মস্থল আর ‘নাড়ির টান’ গ্রামে। ফলে ইউরোপের মতো ক্লাব বা ফুটবলকে ঘিরে নিজেদের পরিচয় খোঁজার চেষ্টাটা অপ্রতুল ছিল (ব্যতিক্রম ইস্ট বেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দল। লক্ষণীয়, এই ক্লাবগুলো মূলত উদ্বাস্তু আর শহুরেদের আত্মপরিচয়ের চেষ্টায়)।
দ্বিতীয়ত, আফ্রিকার মতো এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলেই ভাষা ও সংস্কৃতিকে ঔপনিবেশিক প্রভুরা উৎখাত করতে পারেনি। আফ্রিকানরা ফরাসি ও ইংরেজি ভাষার মতো এদের সংস্কৃতিকেও নিজেদের করে নেয়, বা বলা চলে বাধ্য হয়।
অন্যদিকে এশিয়ায়, তা সে চীন হোক, ভারত হোক কিংবা আরব অঞ্চল, সেখানে এসব সংস্কৃতিকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখা হতো। যে কারণে ফুটবল বা ক্রিকেট হয়তো সময়ে সময়ে শাসকের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াত, কিন্তু হরেদরে আফ্রিকানদের মতো, ইউরোপিয়ান খেলা একেবারে তলা পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
তৃতীয়ত, এশিয়ার পূর্ব অংশে ছিল প্রবল মার্কিন উপস্থিতি। এমনকি ব্রিটিশদের কলোনিগুলোতে ফুটবলের পাশাপাশি ছিল ক্রিকেটেরও প্রবল উপস্থিতি ছিল।
চতুর্থত, আফ্রিকাতে যুদ্ধগুলো সাধারণত একই সীমানার ভেতর গৃহযুদ্ধ। খনিজ সম্পদের দখল কিংবা জাতিগত দাঙ্গা তার প্রধান কারণ।
অন্যদিকে এশিয়াতে বিংশ শতাব্দীর যুদ্ধগুলো ছিল প্রবল আন্তর্দেশীয়, যেগুলোর মাত্রা অনেক বেশি ছিল, এর ফলে সামাজিক বুনিয়াদ ও গঠনের আগাপাশতলা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এসবের প্রভাবে ফুটবল একক সংস্কৃতি হিসেবে পাখা মেলতে পারেনি।
বিশ্বকাপ শুরু হলো
অস্ট্রিয়া বাদ পড়ায় দলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫। আর আগেরবারের মতোই আটটি নকআউট ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও অস্ট্রিয়ার অনুপস্থিতিতে ওয়াকওভার পায় সুইডেন। আর প্রথম দিনেই, জুনের ৪ তারিখ ঘটে বিরাট ‘অঘটন’। মূল খেলায় ড্র করার পর প্লে–অফে সুইজারল্যান্ড হারায় জার্মানিকে।
শুরুতেই ব্রাজিল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয় পোল্যান্ডের—যে দেশ দখল করা নিয়ে কার্যত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু। স্ট্রাসবুর্গে ৫ জুন অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচকে বলা যায় বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ে ৪-৪ গোলে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিল জেতে ৬-৫ গোলে।
আরেক অ–ইউরোপীয় দল কিউবা, যারা মূলত সুযোগ পেয়েছিল মেক্সিকো শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করায়, তারা প্রথমে রোমানিয়ার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে, এরপর প্লে–অফে ২-১ গোলে জেতে। ইতালি হারতে হারতে জিতে যায় নরওয়ের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের দেওয়া গোলে। আর স্বাগতিক ফ্রান্স একই দিনে ৩–১ গোলে হারায় বেলজিয়ামকে।
কিউবা ও সুইজারল্যান্ডের চমক শেষ হয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালেই। সুইসরা ২-০ গোলে হারে হাঙ্গেরির কাছে। সুইডিশদের কাছে ৮-০ গোলে পর্যদুস্ত হয় কিউবানরা। কিউবানরা যখন ৫-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল, তখন ফরাসি সাংবাদিক ইমানুয়েল গাম্বারদেলা নিজের টাইপরাইটার বন্ধ করে ঘোষণা দেন, ‘পাঁচ গোল পর্যন্ত ব্যাপারটা সাংবাদিকতা, এরপর যা হয় তা হচ্ছে পরিসংখ্যান।’
সাংবাদিকরা নিশ্চিতভাবেই পরিসংখ্যান ছাপিয়ে রগরগে আনন্দ পান সেই একই দিনে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল বনাম চেকোশ্লোভাকিয়ার ম্যাচে। ইতিহাসের পাতায় এর নামই হয়ে গেছে ‘ব্যাটল অব বোর্দো।’ সে সময়ে দুনিয়ার হালচাল বুঝতে এ খেলাটা যেন আদর্শ।
সেদিন হাঙ্গেরীয় রেফারি প্যাল ভন হার্টজকা যখন শেষ বাঁশি বাজালেন, দুই দলে ২২ জনের বদলে মাত্র ১৬ জন মাঠে ছিলেন!
তাঁদের মধ্যে একজন আবার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত। এর আগে ৯০ মিনিটে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল মাঠ। ব্রাজিলের মাচাদোস ও জেজে এবং চেকদের রিহা বহিষ্কার হন, আগের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেজেদলি ভাঙা হাত নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন, ব্রাজিলের লিওনিদাস আর পেরাসিও ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়েই খেলা শেষ করেন চেক গোলকিপার প্লানিকা, আর নিশ্চিতভাবেই বাকিদের শরীরেও প্রচুর ক্ষত ছিল।
লিওনিদাস আর নেজেদলির গোলে খেলাটা ১-১ গোলে শেষ হয় আর দুই দিন পর ফরাসি রেফারি জর্জ ক্যাপদাভিলার পরিচালনায় প্লে–অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আগের একাদশে চেকরা ছয়টি পরিবর্তন আনে আর ব্রাজিল করে নয়টি পরিবর্তন। নেজেদলির বদলি নামা কোপেস্কির গোলে পিছিয়ে পড়লেও লিওনিদাস আর রবার্তোর গোলে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে ব্রাজিল।
টানটান উত্তেজনার খেলা হয় ইতালি আর স্বাগতিক ফ্রান্সের। খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই দুই দল একটি করে গোল করে। তবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন পিওলা, জোড়া গোল করে। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের সঙ্গে ম্যাচে পিওলা পেনাল্টি বক্সে ঢুকে দুম করে পড়ে যান আর তারপর এমনভাবে চিৎকার করতে লাগলেন যেন এ জীবনে আর উঠে দাঁড়াতে পারবেন না! পেনাল্টি পেয়েই অবশ্য তড়াক করে লাফিয়ে উঠলেন।
ছোটখাটো, ফর্সা গড়নের জিউসেপ্পে মিয়াজ্জা যখন পেনাল্টি নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করলেন, তখন মজার এক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। তাঁর প্যান্ট খুলে যায়। পুরো মাঠ হতচকিত, ব্রাজিলের গোলকিপার ওয়াল্টার খিলখিল করে হাসছিলেন। তার মধ্যেই মিয়াজ্জা এক হাতে প্যান্ট ধরে জোরালো শটে গোল দেন। তাতে ইতালি ফাইনালে উঠল।
সে দেশের সংবাদমাধ্যম ফলাও করে বলল, আর্য–ইতালির কাছে ‘কালো মানুষ’রা তুচ্ছ। অবশ্য ব্রাজিলের লিওনিদাস সেদিন কেন খেলেননি, তা এক রহস্য। অন্য সেমিফাইনালে, সুইডেনকে নিয়ে ছেলেখেলা করে ৫–১ গোলে জেতে হাঙ্গেরি। সুইডেনের রাজা পঞ্চম গুস্তাভের আশিতম জন্মদিন মাটি করে দেয় ‘ম্যাগিয়ার্স’রা।
ফাইনাল খেলা হয় জুনের ১৯ তারিখে, প্যারিসে। পিওলার দুই গোলে ৪-২ গোলে হাঙ্গেরিকে হারায় ‘আজ্জুরি’রা।
না জিতে উপায়ও ছিল না! খেলার আগে মুসোলিনি ইতালির খেলোয়াড়দের উদ্দেশে একটা ছোট টেলিগ্রাম পাঠান, যেখানে মাত্র তিনটা শব্দ লেখা ছিল—‘জয় না হয় মৃত্যু’। পরের দিন বিশ্বকাপের সমাপনীতে সামরিক উর্দি পরে কাপ গ্রহণ করে বিজয়ী দল। তখন কে জানত এই কলঙ্কিত বিশ্বকাপের পর আর এক যুগ কোনো বিশ্বকাপ হবে না!
তবে সেই অন্ধকার সময়েও লিওনিদাসের জাদু দর্শকদের বিমোহিত করেছিল, মাত্র চার ম্যাচে ৭ গোল দিয়ে তিনি হয়েছিলেন ১৯৩৮ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা। লিওনিদাস মারা যাওয়ার পর সিন্ডলারের সঙ্গে কি তাঁর দেখা হয়েছে? কে জানে! তবে দেখা হলে এই দুই মহারথী নির্ঘাত ১৯৩৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সঙ্গে পোল্যান্ডের খেলাটি নিয়ে আলাপ করতেন। স্ট্রাসবুর্গে সে ম্যাচে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছিল, পুরো মাঠে ছিল কাদা।
এরই মধ্যে বল পায়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে থকথকে কাদায় পায়ের জুতা খুলে যায় লিওনিদাসের। তবু তিনি অবিচল, খালি পায়েই শট নিয়ে গোলপোস্টের জালে জড়িয়ে দেন বল। আকাশে মেঘ, মাঠভর্তি কাদা, আর খালি পায়ে লিওনিদাস যেন যুদ্ধে আক্রান্ত মানুষের মতো অসহায়। তবু সেখান থেকেই তাঁর গোল করাটা যেন এই বার্তা দেয়—সব বাধা ডিঙিয়ে মানবতারই জয় হয়।