উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন
উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন

সৌদি আরবের ফুটবলকে চীনের সঙ্গে তুলনা উয়েফা সভাপতির

ক্লাব ফুটবলে ইউরোপীয় লিগগুলোর দাপটকে এবার বড়সড় ধাক্কাই দিয়েছে সৌদি প্রো লিগের (এসপিএল) দলগুলো। অন্তত খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই। এবারের ২০২৩–২৪ মৌসুমের দলবদলের খরচে প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে সৌদি প্রো লিগ। ব্যালন ডি’অরের বর্তমান মালিক করিম বেনজেমা থেকে শুরু করে নেইমার, সাদিও মানেসহ অনেকেই নাম লিখিয়েছেন সৌদি ক্লাবগুলোতে।

এভাবে একের পর এক ভালো মানের খেলোয়াড়ের সৌদি আরবে চলে যাওয়া ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জনপ্রিয়তার জন্য হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। তবে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন এটিকে বড় করে দেখতে রাজি নন।

ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের মতে, সৌদি আরব এখন যা করছে, তা আগেই করেছিল চীন। কিন্তু চীনের ক্লাব ফুটবল বা জাতীয় দলের জন্য সেটা উপকারে আসেনি। সৌদি আরবের টাকা ঢালা নিয়েও সেফেরিন তাই উদ্বিগ্ন নন।

উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সঙ্গে আলেক্সান্ডার সেফারিন (মাঝে)। সঙ্গে আছেন (বাঁ থেকে) আর্লিং হলান্ড (বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়), অ্যাইতেন বোনমাতি (বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়), সারিনা ভাইগমান (বর্ষসেরা নারী কোচ) ও মিরোস্লাভ ক্লোসা (প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড)

মোনাকোয় গত রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র ও বর্ষসেরা পুরস্কার অনুষ্ঠানের আগে লেকিপের সঙ্গে কথা বলেন সেফেরিন। ফরাসি সংবাদমাধ্যমটিকে সৌদি বিষয়ে চীনের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘এটা হুমকি নয়। একই ব্যাপার তো আমরা চীনের ক্ষেত্রেও দেখেছি। ওরাও প্রচুর টাকা দিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে থাকা খেলোয়াড়দের কিনে নিয়েছিল। কিন্তু চীনের ফুটবলের তাতে উন্নতি হয়নি। ওদের দেশ এরপর আর বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিতে পারেনি।’

সৌদি প্রো লিগে তারকা খেলোয়াড়দের ঢল শুরু হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে, যিনি বছরের শুরুতে আল নাসরে নাম লেখান। পরে এবারের দলবদলে একই পথ অনুসরণ করেন নেইমার, বেনজেমা, মানে, রিয়াদ মাহরেজ, এনগালো কান্তে, ফাবিনিও, জর্ডান হেন্ডারসনরা।

উয়েফা সভাপতির দাবি, দুই ধরনের খেলোয়াড় সৌদি প্রো লিগে যাচ্ছেন। আর্লিং হলান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়েরা নন, ‘যারা ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় আছে এবং শীর্ষ প্রতিযোগিতায় খেলার বিষয়ে খুব একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, তারা সেখানে খেলতে যাচ্ছে। আমি যত দূর জানি, এমবাপ্পে আর হলান্ড কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। আমি বিশ্বাস করি না, ক্যারিয়ারের চূড়ায় থাকা সেরা মানের খেলোয়াড়েরা সেখানে যেতে চায়। মানুষ যখন আমাকে কারও চলে যাওয়ার কথা জানায়, তখন বলতে পারে না, কোথায় যাচ্ছে।’

কয়েক দিন আগে ইতালির সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্তের এক খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের ফুটবল কর্তারা উয়েফাকে একটি প্রস্তাব দিতে চান, যাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে সৌদি ক্লাব অংশ নিতে পারে। এমন সম্ভাবনা আসলে কতটা আছে, জিজ্ঞাসা করা হলে উয়েফা সভাপতি উড়িয়ে দেন, ‘শুধু ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোই চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগে খেলতে পারে। আমাদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াই সংবাদমাধ্যমটি খবর ছাপিয়ে দিয়েছে।’