২১ মিনিটে ৫ গোল। আরেকটু নির্দিষ্ট করে লিখলে গোল ৫টি এসেছে মূলত ১৯ মিনিটে। প্রথম গোলটি ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে। এরপর ৬, ৯, ১৯ ও ২১ মিনিটে আরও চার গোল। আর এ সময়ের মধ্যে লেখা হলো ফুটবল ইতিহাসের বিব্রতকর এক হারের গল্প।
ইংলিশ ফুটবলে এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে ৫ গোল খাওয়ার রেকর্ড আছে মাত্র একটি। সেটিও আবার দুই অসম শক্তির দলের মধ্যে। ২০১৯ সালে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ১৮ মিনিটের মধ্যে ৫ গোল দিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এবার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিল টটেনহামের হজম করা পাঁচ গোল। যেখানে শেষ পর্যন্ত নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে স্পাররা ম্যাচটি হেরেছে ৬-১ গোলে।
এমন হারের পর বিশ্লেষকদের আলোচনার টেবিল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সব জায়গাতেই আলোচনার কেন্দ্রে টটেনহাম। ফুটবলভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে করা প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বাজে হারের তালিকায় টটেনহামের এই হারকে রাখা হয়েছে ৬ নম্বরে। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হজম না করার কারণেই মূলত কিছুটা নিচের দিকে জায়গা পেল হারটি।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে এগোচ্ছিল টটেনহাম। শিরোপা দৌড়ে না থাকলেও সেরা চারের লড়াইয়ে সব সময় ছিল তারা। এর মধ্যে ব্যর্থতার দায়ে চাকরি হারান কোচ আন্তোনিও কন্তে। মৌসুমজুড়ে দল নিয়ে খুশি ছিলেন না কন্তেও। একবার সংবাদ সম্মেলনে দলটিকে স্বার্থপর বলেও মন্তব্য করেছিলেন এই ইতালিয়ান কোচ।
গতকাল রাতের বিব্রতকর হারের পর তাঁর সেই কথাই যেন মনে করিয়ে দিলেন সাবেক নিউক্যাসল তারকা কিয়েরন ডাইয়ার। তিনি বলেন, ‘কন্তে সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিলেন, সব সত্যি প্রমাণিত হলো। সবাই খুব বাজে খেলেছে।’
সাবেক ইংলিশ তারকা ক্রিস ওয়াডলে বলেন, ‘টটেনহামের খেলোয়াড়দের উচিত, সমর্থকদের ভ্রমণের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া। কারণ, এটা আমার দেখা সবচেয়ে বাজে হারগুলোর একটি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুটবল ভক্তরাও এক হাত নিয়েছেন ক্লাবটিকে। একজন লিখেছেন, ‘তাদের অনেককে এখনই বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘ক্লাবটিকে মুছে ফেলুন।’
ক্ষুব্ধ আরেক সমর্থকের মতে, ক্লাবটিকে এখনই অবনমিত করা উচিত। রয় নামের একজন লিখেছেন, ‘আমি এরকম আর দেখিনি। একটি ক্লাব কীভাবে নিজেদের সঙ্গে এমনটা হতে দিতে পারে। ২১ মিনিটে ৫ গোল!’