টানা ১১ বারের বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। বুন্দেসলিগার নাম পাল্টে বায়ার্নলিগা করার দাবি যদি কেউ করেন তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না। সর্বশেষ ১১ বার সহ মোট ৩৩ বার জার্মানির শীর্ষ লিগ জিতে বায়ার্নই যে অবিসংবাদিত সেরা দল দেশটিতে।
তবে সব ধারারই শেষ আছে। এবার মনে হয় বায়ার্নের টানা লিগ জয়ের রথ থামতে যাচ্ছে। বায়ার্নকে থামাতে যাচ্ছে এমন একটা দল যারা কখনোই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বুন্দেসলিগায়। দলটির নাম বায়ার লেভারকুসেন, ‘শত্রুরা’ মজা করে যাদের ‘নেভারকুসেন’ বলে থাকে।
শনিবার ঘরের মাঠে বায়ার্নকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে জাবি আলোনসোর দল। ২১তম ম্যাচে পাওয়া ১৭তম জয়ে ৫৫ পয়েন্ট লেভারকুসেনের। সমান ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া বায়ার্নের পয়েন্ট ৫০।
লিগে এবার দুদলের প্রথম দেখায় জিততে পারেনি কেউ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ২-২ গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন ও লেভারকুসেন। ১৫ সেপ্টেম্বরের সেই ড্রয়ের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা লেভারকুসেন পরের রাউন্ডে নেমে গিয়েছিল দুইয়ে। ঠিক পরের রাউন্ডে মাইনৎসকে হারিয়ে আবার শীর্ষে ওঠার পর থেকে টানা প্রায় সাড়ে চার মাস পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে লেভারকুসেন।
শনিবার বে অ্যারেনায় শুরু থেকেই দারুণ খেলা লেভারকুসেন ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। গোলটি করেছেন বায়ার্ন থেকেই এ মৌসুমে ধারে বায়ারে আসা ইয়োসিপ স্তানিসিচ। কর্নার ফ্লাগের কাছে থেকে জার্মান মিডফিল্ডার রবার্ট আন্দ্রিখ বায়ার্নের গোলমুখে ক্রস করেন। অগোছালো বায়ার্ন রক্ষণের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান স্তানিসিচ। ঠান্ডা মাথায় গোল করার পর দুহাত ওপরে তুলে বায়ার্ন সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ক্রোয়াট খেলোয়াড়।
মিনিট পাঁচেক পরেই মানুয়েল নয়্যারের দারুণ সেভে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করার সুযোগ হারায় লেভারকুসেন। লেভারকুসেন ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ৫০ মিনিটে। গোলদাতার নাম অ্যালেক্স গ্রিমালদো। স্প্যানিশ লেফট উইংব্যাক নাইজেরিয়ান উইঙ্গার নাথান তেল্লার পাস থেকে বল পেয়ে দ্বিতীয় গোল এনে দেন দলকে।
২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাওয়া লেভারকুসেন তৃতীয় গোলটি পায় ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগ করা সময়ে। গোল করতে মরিয়া বায়ার্নের গোলরক্ষকসহ প্রায় সব খেলোয়াড়ই উঠে গিয়েছিলেন ওপরে। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে অনেকটা দূর থেকেই শট নিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে দেন জেরেমি ফ্রিমপং।