বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের জার্সিতে নাম ও নম্বর লেখা ছিল বাংলায়
বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের জার্সিতে নাম ও নম্বর লেখা ছিল বাংলায়

কিংসের জার্সিতে বাংলা, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস শুনে আপ্লুত রবসনরা

তপু বর্মণ কবে থেকে ৮ নম্বর জার্সি পরা শুরু করলেন! বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ বসুন্ধরা কিংস–রহমতগঞ্জ ম্যাচে দর্শকেরা কিছুটা বিভ্রান্তিতেই পড়ে গেলেন। কিংসের খেলোয়াড়দের জার্সির পেছনে নম্বর যে বাংলায় লেখা! সে কারণেই তপু বর্মণের ৪ নম্বর জার্সিকে দর্শকেরা ভাবছিলেন ৮ (8)!

চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা আজ এভাবেই ভাষাশহীদদের স্মরণ করল। রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচে রবসন, মিগুয়েলরা পরেছিলেন বাংলা লেখা জার্সি। পেছনে বাংলায় লেখা নাম ও নম্বর। এমনকি সামনে পৃষ্ঠপোষকের নামও বাংলায় লেখা। শর্টসের কোনায় লেখা নম্বরও বাংলায়। ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে আরও একটি ম্যাচ খেলবে কিংস। সে ম্যাচেও বাংলা লেখা জার্সি পরেই মাঠে নামবে দলটি।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস শুনে আপ্লুত হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের বিদেশি খেলোয়াড়েরা

রবসন, মিগুয়েল, দরিয়েলতন, ইউলদাশোভ—বিদেশিদের নামগুলো বাংলায় লেখা। নিজেদের নাম বাংলায় দেখে তাঁদের অনুভূতি কি? বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বললেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ওদের জানানো হয়েছে। ওরা সবাই দারুণ আপ্লুত। নিজেদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের ছাত্র–জনতা জীবন দিয়েছে, এই ইতিহাস ওদের ছুঁয়ে গেছে।’

ইমরুল হাসান বলেন, পুরো বিষয়টিই ভাষাশহীদদের প্রতি বসুন্ধরা কিংসের পক্ষ থেকে একধরনের শ্রদ্ধার্ঘ্য। তাঁর কথা, ‘ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি আমরা। সেটি থেকেই জার্সিতে বাংলা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। ভাষা আন্দোলন থেকেই তো আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা হয়েছে। আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।’

দেশের ফুটবলে এভাবে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানো নতুন এক অভিজ্ঞতাই।