আপাতত বড় বাঁচা বেঁচে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওমোনিয়ার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল না পেলে ইউরোপা লিগে ‘ই’ গ্রুপে নিশ্চিতভাবেই দুইয়ে থাকতে হতো এরিক টেন হাগের দলকে। আর গ্রুপ সেরা হতে না পারলেই নকআউট পর্বে মুখোমুখি হতে হবে বার্সেলোনা বা জুভেন্টাসের। সে সম্ভাবনা এখনো মিলিয়ে যায়নি। তবে গ্রুপ সেরা হওয়ার পথ খোলা রাখতে পেরেছে ইউনাইটেড।
ইউরোপা লিগে কাল রাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওমোনিয়া নিকোশিয়ার মুখোমুখি হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের ইউনাইটেড। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা সাইপ্রাস ক্লাবটির বিপক্ষে গোল পেতে যোগ করা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ইউনাইটেডকে।
রোনালদো, মার্কাস রাশফোর্ডরা একের পর এক শট নিলেও জাল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুরো সময় মাঠে থাকা রাশফোর্ড মোট ১৫টি শট নেন, এর মধ্যে ৫টিই ছিল গোলমুখে। রোনালদো শট নেন ৯টি, গোলমুখে ২টি।
সব মিলিয়ে ৩৩টি শটের মধ্যে ১২টিই রুখে দেন ওমোনিয়া গোলরক্ষক ফ্রান্সিস উজোহো।
শেষ পর্যন্ত ৮১ মিনিটে কাসেমিরোর বদলি নেমে ইউনাইটেডকে উদ্ধার করেন স্কট ম্যাকটমনাই। ডান পায়ের নিচু শটে ইউনাইটেডকে গোল এনে দেন ২৫ বছর বয়সী স্কটিশ মিডফিল্ডার। এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে ইউনাইটেডকে বদলি খেলোয়াড়েরা গোল এনে দিলেন।
ম্যাচ শেষে ৩৩টি বিফল শট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইউনাইটেড কোচ টেন হাগকে। গোল না পেলেও সুযোগ তৈরি হওয়াতেই খুশি টেন হাগ, ‘রক্ষণে আটকে থাকা দলের বিপক্ষে গোল করাটা সব সময়ই কঠিন। আর এ ধরনের দলের বিপক্ষে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করতে পারাটাও খারাপ কিছু না।’
ইউনাইটেড কোচের মতে, ওমোনিয়ার বিপক্ষে বেশি সুযোগ তৈরির মাধ্যমে সামনে গোলের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।
এমনও বললেন, তাঁর দল গোল জমা করেছে, ‘এ বছর এরই মধ্যে প্রচুর গোল করেছি আমরা। প্রতি ম্যাচেই গোল হয়েছে, সামনেও হবে। আমি এ নিয়ে চিন্তিত নই। আশা করি, সামনের সপ্তাহের জন্য আমরা গোল জমা করে রেখেছি। আমার বরং খেলোয়াড়দের প্রশংসাই করতে হবে। ওরা ঠিকঠাক জায়গাতে ছিল।’
ওমোনিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের জয়ে ‘ই’ গ্রুপে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল সোসিয়েদাদ। গ্রুপ পর্বের বাকি দুটি ম্যাচ জিতে এখনো শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনা আছে ইউনাইটেডের। চার ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ওমোনিয়া এবং ৩ পয়েন্ট পাওয়া শেরিফ তিরাসপোলের বিদায় এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে।