ব্যালন ডি’অর একজন ফুটবলারকে এনে দেয় বর্ষসেরার মর্যাদা। এই পুরস্কার তাই যেকোনো ফুটবলারের কাছে স্বপ্নপূরণের আরেক নাম।
গত দেড় দশকের বেশির ভাগ সময়জুড়ে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হাতেই ঘোরাফেরা করেছে ব্যালন ডি’অর। মেসি–রোনালদোর বাইরে একবার করে পুরস্কারটা জিতেছেন লুকা মদরিচ ও করিম বেনজেমা। তবে এবার তাঁদের কেউ নন; ব্যালন ডি’অর জিততে চলেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা এ দাবি করেছে।
পত্রিকাটির আজকের ছাপা সংস্করণের প্রধান খবর এটিই। স্প্যানিশ ভাষায় সেই সংবাদের শিরোনাম—‘Vinicius, el gran candidato a numero 1 mundial’। বাংলায় যার অর্থ: বিশ্বের ১ নম্বর হওয়ার লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় প্রার্থী ভিনিসিয়ুস। একই প্রতিবেদনের অনলাইন শিরোনাম—‘Vinicius se viste de oro en París’। যার অর্থ: প্যারিসে সোনায় মোড়ানো ভিনিসিয়ুস।
প্যারিসের থিয়েটার দু শাতেলেতে আগামী ২৮ অক্টোবর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই রাতে ভিনিসিয়ুসের হাতে সোনার বলটা উঠলে ব্রাজিলের ১৭ বছরের অপেক্ষা ঘুচবে। ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে সর্বশেষ এই পুরস্কার জিতেছিলেন রিকার্দো কাকা, ২০০৭ সালে। এসি মিলানের হয়ে অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটিয়েছিলেন তিনি।
২০২৪ ব্যালন ডি’অরের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর ৩০ জনকে মনোনীত করে এই পুরস্কারের আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল। তখন থেকেই আলোচনায় ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস, তাঁর ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহাম ও ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি।
তবে মার্কা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুস এরই মধ্যে জেনে গেছেন, পুরস্কারটা তিনিই জিততে চলেছেন। ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভিনিকে নিশ্চিত করায় তাঁর জন্য বিশেষ সোনার বুট তৈরি করে ফেলেছে বিশ্বের শীর্ষ ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি।
ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের ২ দিন পর (৩১ অক্টোবর) মাদ্রিদ শহরে গ্রান ভায়া স্ট্রিটে নাইকি তাদের সুপারস্টোর আবারও খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেদিন ভিনিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে দেখা যাবে। রোনালদো তাঁর পাঁচ ব্যালন ডি’অরের চারটিই জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে।
এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে গত বছরের ১ আগস্ট থেকে এ বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভিনিসিয়ুস রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন। ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত মৌসুমে করেছেন ২৪ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি।