স্টিভেন জেরার্ড। লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তবে কখনোই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার স্বাদ না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই ফুটবল ছাড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডের সাবেক এই মিডফিল্ডারকে।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই জেরার্ডের সাবেক ক্লাব লিভারপুল। চোটাঘাতে জর্জর দলটি মাঠে মোটেও ধারাবাহিক নয়। বাজে খেলার ফল হিসেবে এখন পয়েন্ট তালিকার মাঝামাঝি অবস্থানে আছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এ মৌসুমে শেষ পর্যন্ত লিভারপুল কোন অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করবে, কে জানে!
তবে মার্সিসাইডের দলটি এরই মধ্যে আগামী মৌসুমের দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলা তরুণ ইংলিশ ফুটবলার জুড বেলিংহামকে দলে টানার চেষ্টা করছে লিভারপুল। তবে ক্লাব ফুটবলের পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদও দলে নিতে চায় ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বেলিংহামকে। স্প্যানিশ পরাশক্তিরা বাজারে নামতেই আট কোটি পাউন্ডের বেলিংহামকে দলে টানাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে লিভারপুলের জন্য।
প্রতিপক্ষের বক্সে দৌড়ে ঢুকে গোল করতে পারে এমন একজন ৮ নম্বর খেলোয়াড়ের অভাব টের পাচ্ছে লিভারপুল। বেলিংহামের তো সব গুণই আছে।স্টিভেন জেরার্ড
এমন সময়েই এগিয়ে এলেন জেরার্ড। লিভারপুল-চেলসি ম্যাচের আগে সাবেক লিভারপুল অধিনায়ক বললেন দরকার হলে তিনি জার্মানি গিয়ে বেলিংহামকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে নিয়ে আসবেন।
জেরার্ড হয়তো মজা করে কথার কথা হিসেবে বলেছেন জার্মানিতে যাওয়ার কথা। তবে লিভারপুলের কেন বেলিংহামের মতো খেলোয়াড় দরকার, সেটি চমৎকারভাবেই বুঝিয়েছেন ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা ১৭ বছর পেশাদার ফুটবলে লিভারপুলের খেলা জেরার্ড, ‘(লিভারপুলের) বেলিংহামের মতো খেলোয়াড়ই দরকার। আমি ওর বড় ভক্ত। প্রতিপক্ষের বক্সে দৌড়ে ঢুকে গোল করতে পারে এমন একজন ৮ নম্বর খেলোয়াড়ের অভাব টের পাচ্ছে লিভারপুল। বেলিংহামের তো সব গুণই আছে।’
ছেলেবেলা থেকেই লিভারপুল ক্লাবের অংশ হওয়া জেরার্ড কীভাবে বেলিংহামকে প্রিয় দলে আনতে রাজি করাতে চান, সেই ব্যাখ্যাও দিতে গিয়ে বলেন, ‘ওর (বেলিংহাম) যা দরকার, তা হলো ওর ডায়েরিতে আমার সঙ্গে দেখা করার তারিখ যোগ করা। এরপর আমি ডর্টমুন্ডে উড়ে যাব, ওর সঙ্গে ডিনার করব এবং শেষে ওকে নিয়ে আসব।’
জেরার্ড কি সত্যি সত্যিই যাবেন জার্মানিতে। এ মৌসুমের শুরুতে অ্যাস্টন ভিলার কোচের পদ থেকে ছাঁটাইয়ের পর থেকে তাঁর হাতের অফুরন্ত সময়।