শিরোনামটা স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’-এর। ‘পেলে ও রোহার পর এলেন গাভি’—স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কাল কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল না পেলে এই শিরোনামটা হয়তো হতো না। তাই বলে গাভিকে রেকর্ড থেকে দূরেও রাখা যেত না। মাঠে নেমেই তো রেকর্ড গড়েছেন!
স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ডটি কাল রাতেই গড়েছেন ১৮ বছর ১১০ দিন বয়সী গাভি। স্পেনের ৭ গোলের উৎসবে এরপর আরও দুটি রেকর্ডের দেখা পেয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
২০০৬ বিশ্বকাপ ইউক্রেনের বিপক্ষে বদলি হয়ে নেমে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন সেস্ক ফ্যাব্রিগাস। তখন এই মিডফিল্ডারের বয়স ছিল ১৯ বছর ৪১ দিন।
কাল গাভি ছাড়াও আরও একজন টপকে গেছেন ফ্যাব্রিগাসকে। জর্দি আলবার বদলি হিসেবে ৬৪ মিনিটে মাঠে নামেন লেফটব্যাক ১৯ বছর ৩৬ দিন বয়সী আলেহান্দ্রো বালদে। অর্থাৎ স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ডে গাভি এখন শীর্ষে, বালদে দুইয়ে এবং ফ্যাব্রিগাস তিনে।
কোস্টারিকার বিপক্ষে স্পেনের ৭-০ গোলে জয়ের এই ম্যাচে ৭৪ মিনিটে গোল করেন গাভি। আলভারো মোরাতার পাস থেকে ভলিতে করা গোলটা চোখধাঁধানো ছিল। আর এই গোলের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ অভিষেকেই দারুণ এক রেকর্ডের দেখা পেয়ে যান বার্সেলোনা তারকা। বিশ্বকাপ অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ডটিও এখন গাভির। রেকর্ডটি এত দিন রোমানিয়া ও হাঙ্গেরির হয়ে খেলা সাবেক ফরোয়ার্ড নিকোলা কোভাচের দখলে ছিল।
১৯৩০ বিশ্বকাপে রোমানিয়ার হয়ে ১৮ বছর ১৯৭ দিন বয়সে অভিষেকে গোল করেছিলেন। তার সে রেকর্ড ১৮ বছর ১১০ দিন বয়সে ভাঙলেন গাভি। এই তালিকায় তৃতীয় খেলোয়াড়টি লিওনেল মেসি। ২০০৬ বিশ্বকাপে ১৮ বছর ৩৫৭ দিন বয়সে অভিষেকেই গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতাও গাভি। এই রেকর্ড ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে ১৭ বছর ২৩৯ দিন বয়সে গোল করেছিলেন পেলে। এর মধ্য দিয়ে ১৯৩০ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর সাবেক ফরোয়ার্ড ম্যানুয়েল রোহার রেকর্ডটি ভেঙে ফেলেন পেলে।
ইতিহাসের সেই প্রথম বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১৮ বছর ৯০ দিন বয়সে বয়সে গোল করেছিলেন রোহা। এই ম্যাচেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পেনাল্টি থেকে গোলও করেন রোহা। পেলে ও রোহার পর বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন গাভি।