৩–০ গোলে জিতল ব্রাইটন
৩–০ গোলে জিতল ব্রাইটন

ব্রেন্টফোর্ডের পর লিভারপুল হারল ব্রাইটনের কাছেও

ইয়ুর্গেন ক্লপের ‘হেভিমেটাল ফুটবল’এর তালটা কি একেবারেই কেটে গেল! সুরটাও কেমন যেন বেসুরো মনে হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে! মাঠের খেলা দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। লিগে আগের ম্যাচে ৮৫ বছর পর ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরেছে লিভারপুল। এবার তারা হারল ব্রাইটনের কাছে। এই ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহদের দর্শক বানিয়ে সলি মার্চ করলেন জোড়া গোল।

বাকি গোলটি করেছেন ওয়েলব্যাক। তাতে ব্রাইটনের কাছে ক্লপের দল হেরেছে ৩-০ গোলে। অথচ দুই দলের সর্বশেষ ১১ বারের সাক্ষাতে মাত্র একবারই হারের মুখ দেখেছিল অলরেডরা। ঘরের মাঠে এর আগে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে কোনো জয় ছিল না ব্রাইটনের।

দুই দল ছিল দুই মেরুতে। লিগে লিভারপুল সর্বশেষ সাত ম্যাচের ৩টিতে হেরেছে। এফএ কাপে উলভসের বিপক্ষে কোনোভাবে হার এড়িয়েছে তারা। অন্যদিকে ব্রাইটন কোচ রবার্তো দি জের্বির অধীনে প্রথম ৫ ম্যাচে জয়ে না পেলেও সর্বশেষে ৬ ম্যাচে তারা জিতেছে ৪টিতে। মাঠের খেলাতেও দেখা গেল সে চিত্র। শুরু থেকে ব্রাইটনের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়তে হয় লিভারপুলকে।

টানা দুটি লিগ ম্যাচে হারল লিভারপুল

ম্যাচের প্রথমার্ধের পরিসংখ্যানটা দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। ম্যাচের প্রথম ভাগে ৬৫ ভাগ বলই ছিল জের্বির শিষ্যদের পায়ে। পোস্টে ব্রাইটন শট রাখতে পেরেছে ৩টি, লিভারপুল একটা শটও নিতে পারেনি ক্লপের দল।

এত ভালো শুরু করে যদিও গোলটা পাচ্ছিল না ব্রাইটন। ম্যাচের ৪২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। তবে সলি মার্চ অফসাইড হওয়ায় ভিএআরে পেনাল্টি বাতিল হয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েও সুযোগ পান মার্চ। তবে ১২ গজ দূর থেকে নেওয়া শটেও লিভারপুল গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি এই ইংলিশ ফুটবলার।

বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই গোল পাং ব্রাইটন। লিভারপুল ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপের ভুলে গোল করেন সেই মার্চ। যদিও এই গোলের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান জাপানি ফুটবলার কারাও মিতোমার। তার ক্রসে পা ছুঁয়েই গোল পান মার্চ। ব্রাইটন এর পরের গোলটা পায় ৬ মিনিট পরই। আবারও সেই মার্চ। এবার তিনি একাই নায়ক।

তার দূরপাল্লার শট আলিসন বেকারকে কোনো সুযোগই দেয়নি। ব্রাইটনের জার্সি গায়ে পরার আগে মার্চ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ খেলেছেন ১৫৬টি। এই ১৫৬ ম্যাচে তিনি গোল করেছিলেন মাত্র ৪টি। অথচ ব্রাইটনের হয়ে ৪ ম্যাচে এরই মধ্যে ৪ গোল করেছেন এই ইংলিশ ফুটবলার। ব্রাইটনের পরের গোলেও অবদান ছিল মার্চের। তাঁর বাড়ানো বলই প্রথম স্পর্শে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর শূন্যে ভাসা বলকে জালে পাঠান ওয়েলব্যাক।