লেবাননের বিপক্ষে ১১ জুন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। নভেম্বরে ঢাকায় এই লেবাননের সঙ্গেই ১-১ গোলে ড্র করে এখন পর্যন্ত একমাত্র পয়েন্টটি পেয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। ১১ জুনের ম্যাচটি অ্যাওয়ে হলেও লেবানন সেটি নিজেদের মাঠে খেলতে পারছে না। যুদ্ধ ও অন্যান্য রাজনৈতিক সমস্যার কারণে ম্যাচটি হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু কাতারের দোহায়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) শুরু হবে খেলা।
শুরুতে ম্যাচটি কাতারের বিখ্যাত ক্লাব আল-সাদের স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও এখন হবে ২০২২ বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু খলিফা স্টেডিয়ামে। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তেই ভেন্যু বদল হচ্ছে বাংলাদেশ-লেবানন ম্যাচের। ২০২২ বিশ্বকাপে খলিফা স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ৬টি ম্যাচ ছাড়াও হয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে শুক্রবার বিকেলেই কাতারের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলাদেশ দল। কাতারে জুন মাসের গরমে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ দলের। ২০২০ সালে কোভিডের কারণে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের তিনটি ম্যাচ দোহায় খেলেছে বাংলাদেশ। কোভিড প্রটোকল মেনে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওমান, আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচই ছিল দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গ্রুপের অপর দল কাতারের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটিও বাংলাদেশ খেলেছিল একই স্টেডিয়ামে।
৩০ বছর আগে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ দল। ১৯৯৪ সালে কাতারের স্বাধীনতা কাপ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম আমন্ত্রিত দল। সে সময় আবাহনী, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ভেঙে শক্তিশালী দল হয়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রই ‘জাতীয় দল’ হিসেবে খেলেছিল স্বাধীনতা কাপে। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনকে মিজানুর রহমানের একমাত্র গোলে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
গ্রুপে ইয়েমেন, ভারত ও বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল সমান ৩ করে। গোল গড়ে পেছনে পড়ে গিয়ে সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হারটাই কাল হয়েছিল। বাংলাদেশের সেই দলটার দায়িত্বে ছিলেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। অধিনায়ক ছিলেন গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিন।
খলিফা স্টেডিয়ামে লেবাননের বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে তাই অতীত সুখস্মৃতিও সঙ্গী হচ্ছে। ইয়েমেনের বিপক্ষে সেই জয় প্রেরণা হবে কি না, সেটি অবশ্য ১১ জুন রাতেই বোঝা যাবে।