>চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে জয় পেয়েছে আটালান্টা ও লাইপজিগ
চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক মৌসুমেই দুর্দান্ত কাটছে আটালান্টার। সান সিরোয় স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে শেষ ষোলো প্রথম লেগে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে রইল জিয়ান পিয়েরো গাসপিরিনির দল। চ্যাম্পিয়নস লিগে নকআউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে জিততে না পারার গেরো এখনো কাটাতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া।
সান সিরোয় গত ৭ বছরের মধ্যে ইতালির কোনো ক্লাব চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউট পর্বের ম্যাচ জিততে পারেনি। কাল গতিময় ফুটবল খেলে এ ধারা ভেঙেছে আটালান্টা। অথচ এই আটালান্টাই গ্রুপপর্বে প্রথম তিনটি ম্যাচ হেরে বসেছিল। ‘হোম’ম্যাচগুলো তারা নিজেদের মাঠ জিউয়িস স্টেডিয়ামে খেলতে পারেনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ আয়োজন করতে যেসব যোগ্যতা লাগে সেটি আটালান্টার স্টেডিয়ামের নেই। এ কারণে খেলতে হয়েছে ৫৫ কিলোমিটার দূরে মিলানের সান সিরোয়। তবে ম্যাচের সময় মনে হয়েছে এ যেন আটালান্টার মাঠ! প্রায় ৪০ হাজার সমর্থক ছিল ক্লাবটির।
প্রথমার্ধে দুটি গোল করেন আটালান্টার হানস হেটবোয়ের ও ইলিচিচ। ৫৭ মিনিটে ম্যাচের সেরা গোলটি রেমো ফ্রেউলেরের। দর্শনীয় বাঁকানো শটে ব্যবধান ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন আটালান্টা মিডফিল্ডার। এরপর হেটবোয়ের আরও একটি গোল করলে বড় ব্যবধানের হার নিশ্চিত হয়ে যায় ছয়বারের লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। ৬৬ মিনিটে চেরিশভের গোলে হারের ব্যবধান যা একটু কমাতে পেরেছে ভ্যালেন্সিয়া।
শেষ ষোলো প্রথম লেগে অপর ম্যাচে লাইপজিগের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে টটেনহাম হটস্পার। ম্যাচে ইংলিশ ক্লাবটি কতটা চাপে ছিল সেটি স্কোরলাইন দেখে বোঝা যাবে না। ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস দুর্দান্ত কিছু সেভ না করলে টটেনহামের হারের ব্যবধান বাড়ত। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জার্মান ক্লাবটিকে জয়সূচক গোল এনে দেন তিমো ভের্নার। চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউট পর্বে এর আগে ঘরের মাঠে দুটি প্রথম লেগ ম্যাচ হেরেছেন হোসে মরিনহো। দুবারই ছিটকে পড়তে হয়েছে টটেনহামের এ কোচকে। মরিনহো এবার কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়।