আগামী মে মাসের আগে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে না বাংলাদেশ। ৩১ মার্চের পর ‘পরিস্থিতির উন্নতি হলে’ তবেই আবার শুরু হবে খেলা
সারা পৃথিবীতে খেলাধুলা বন্ধ করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। ইতালি, ইংল্যান্ড, স্পেন—বিশ্বখ্যাত সব ফুটবল লিগ আছে এ তালিকায়। ভারতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজার কোটি রুপির আইপিএল। বাংলাদেশে এতদিন সিদ্ধান্তটা থমকে ছিল। অব্যাহত ছিল প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ, তাও সাত ভেন্যুতে। শুরু হয়েছিল ক্লাব ক্রিকেটের আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। অন্যান্য খেলাও চলেছে এত দিন। আজ ঘোষণা এসেছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব খেলা বন্ধ করে দেওয়ার। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান জানিয়েছেন আগামী মে মাস পর্যন্ত আয়োজিত হবে না কোনো আন্তর্জাতিক আসর।
আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সব ফেডারেশনকে নিয়ে সভায় বসেছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সভা শেষে তিনি বলেন, ‘৩১ মার্চ পর্যন্ত আমরা সব ধরনের ঘরোয়া খেলাধুলা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি। এরই মধ্যে আমি বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছি। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় স্কুল ফুটবল বন্ধ থাকবে। লিগের ব্যাপারেও কথা বলেছি। তাঁরা এটা বন্ধ করে দেবেন। বিসিবির সভাপতি পাপন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন আমি আজই সবার সঙ্গে বসব এটা নিয়ে। ২৬ মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের কিছু কর্মসূচি ছিল সেটাও বন্ধ করতে বলেছি। যেহেতু স্কুল ও কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানে খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপরই আজ এ সভা ছিল। আবার কবে খেলা শুরু হবে এ ব্যাপারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরিস্থিতি উন্নতি হওয়া’র বিষয়টিই, ‘৩১ মার্চের পর পরিস্থিতির উন্নতি হলে কোনো ফেডারেশন চাইলে খেলা শুরু করতে পারে। তবে মে মাসের আগে কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন করা যাবে না।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে এপ্রিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরও স্থগিত ঘোষিত হয়েছে। এপ্রিলে একটি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলার জন্য করাচি যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। ফুটবলে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচও করোনার কারণে স্থগিত হয়ে গেছে। ২৬ মার্চ দেশের মাটিতে আফগানিস্তান ও ৩১ মার্চ কাতারের দোহায় কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশের।