মৃত্যুকূপ? সে আর বলতে! একই গ্রুপে ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (জার্মানি), ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন (পর্তুগাল) ও ২০১৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (ফ্রান্স)। ইউরো ২০২০-এর ‘এফ’ গ্রুপকে তাই ‘মৃত্যুকূপ’ বলা হচ্ছে। জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো অবশ্য এতে পড়ে খুশিই!
ছয়টি গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ২৪ দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল নাম লেখাবে শেষ ষোলোয়। তৃতীয় হওয়া দলেরও সুযোগ থাকছে, তবে সেখানেও আছে অন্যরকম এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এ ছয়টি গ্রুপের মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে শীর্ষ চারটি দল নাম লেখাবে শেষ ষোলোয়। অর্থাৎ ‘এফ’ গ্রুপে তৃতীয় হওয়া দলটিরও সুযোগ থাকছে শেষ ষোলোয় ওঠার। ‘এফ’ গ্রুপের আরেকটি দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্লে অফে ‘এ’ গ্রুপ থেকে আইসল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়ার মধ্য থেকে যেকোনো একটি দল উঠে আসবে এই গ্রুপে।
>ইউরো ২০২০-এ গ্রুপপর্বের ‘ড্র’ হয়ে গেল কাল। ‘এফ’ গ্রুপে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স ও পর্তুগাল। এ গ্রুপকে ‘মৃত্যুকূপ’ই বলছেন বিশ্লেষকেরা। তবে জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো তাতে খুশি
‘এফ’ গ্রুপকে ‘মৃত্যুকূপ’ মানলেও ফ্রান্স ও পর্তুগালের সঙ্গে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়ে খুশি হয়েছেন লো, ‘ভালো লাগছে যে ফ্রান্স ও পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলব। খেলোয়াড়েরাও এ ম্যাচগুলোয় তাকিয়ে। এটা অবশ্যই মৃত্যুকূপ। সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে সবাইকে নিজের সর্বোচ্চটুকুই নিংড়ে দিতে হবে। তবে এসব ম্যাচ কিন্তু উৎসবেরও উপলক্ষ। আর আমরা জার্মানিতেও খেলব।’
ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম মনে করেন ‘এফ’ গ্রুপের চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন। দেশম বলেন, ‘এটা কঠিন গ্রুপ। আমি নিশ্চিত জোয়াকিম লো ও পর্তুগাল কোচের (ফার্নান্দো স্যান্টোস) ভাবনাও একই। প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ প্রতিপক্ষ জার্মানি আর ম্যাচটা তারা নিজেদের মাটিতে খেলবে।’ ১৬ জুন আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। ১২ জুন থেকে শুরু হবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।