>সুইডেনের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে জিতলেও ম্যাচের শেষ দিকে এসে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন সেন্টারব্যাক জেরোম বোয়েটেং। দায়িত্বজ্ঞানহীন পারফরম্যান্সের জন্য বোয়েটেংকে একদম ধুয়ে দিয়েছেন দুই ফুটবল পণ্ডিত গ্যারি নেভিল ও রয় কিন
প্রথম ম্যাচেও যে খুব আহামরি খেলেছিলেন তা নয়। কিন্তু গতকাল সুইডেন ম্যাচে যা খেলেছেন, তাতে ছাড়িয়ে গেছেন আগের ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সকেও। ৮৩ মিনিটে অহেতুক চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে দ্বিতীয় কার্ডও দেখেছেন। সামনের ম্যাচে এই লাল কার্ড দেখার জন্য নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারবেন না জেরোম বোয়েটেং। তাতে জার্মানির জন্য শাপে বরই হয়েছে!
ক্রুস না থাকলে হয়তো বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে বোয়েটেংয়ের খারাপ পারফরম্যান্সের মাশুল দিত জার্মানি। শেষ পর্যন্ত এমন চড়া মূল্য দিতে হয়নি। তবে এতে ফুটবল পণ্ডিতেরা থেমে থাকবেন কেন? বোয়েটেংকে একদম ধুয়ে দিয়েছেন রয় কিনও গ্যারি নেভিলের মতো ফুটবল পণ্ডিত ও তারকারা।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে আইটিভির পণ্ডিত হিসেবে কাজ করছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই দুই কিংবদন্তি। সেখানেই চাঁছাছোলা ভাষায় বোয়েটেংয়ের পারফরম্যান্সের নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা।
‘বোয়েটেংয়ের খেলা দেখে মনে হচ্ছে, সে পিকনিক ফুটবল খেলতে এসেছে, পুরো ম্যাচটাই জঘন্য খেলছে সে। তাকে মাঠ থেকে তুলে নাও!’ ম্যাচের বিরতিতে জোয়াকিম লোর প্রতি আহ্বান জানান রয় কিন। কিনের সঙ্গে সম্মতি প্রদান করে গলা মিলিয়েছেন গ্যারি নেভিলও, ‘রয়ের সঙ্গে আমি একদম একমত, জার্মান সেন্টারব্যাকরা খুবই বাজে খেলছে। বিশেষত বোয়েটেং। সে কি নিজেকে ফ্র্যাঙ্ক বেকেনবাওয়ার ভাবছে কোনো কারণে? কিছুদিন পেপ গার্দিওলার অধীনে খেলেই সে নিজেকে খুব বড় একটা খেলোয়াড় মনে করছে!’
কিন যদিও তাঁর প্রত্যাশা পূরণ হতে দেখেছেন ৮৩ মিনিটে, জোয়াকিম লো নিজে বোয়েটেংকে মাঠ থেকে না তুললেও বোয়েটেং নিজেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। এ ব্যাপারে কিন বলেছেন, ‘বোয়েটেংকে ছাড়াই শেষ কয় মিনিট জার্মানি বেশি ভালো খেলেছে!’
নেভিল বা কিনের কথা যে ভুল কিছু নয়, তা বোয়েটেং প্রথমার্ধেই দেখিয়ে দিয়েছেন সুইডেনের গোলের সময়। সময়মতো ট্যাকল করতে পারলে হয়তো অলা তইভনেনও সেই গোলটা করতে পারেন না, বোয়েটেংকেও এভাবে কিন-নেভিলদের চক্ষুশূল হতে হয় না!