>ঘরোয়া ফুটবল লিগে বিদেশি কমানোর দাবি তুলেছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। কমানো তো হয়-ই নি, উল্টো নিবন্ধনকৃত সব খেলোয়াড়েরই একই ম্যাচে খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বুরুন্ডির বিপক্ষে গোল মিসের মহড়া দিয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। গোল করে না পারা এমনিতেই জাতীয় দলের পুরোনো রোগ। সম্প্রতি যোগ হয়েছে ভালো খেলেও গোল মিসের খেসারত দেওয়া। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে ঘরোয়া ফুটবলে বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা কমানোরও দাবি তুলেছেন খোদ জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। কিন্তু কোচের কথা বাফুফে তো শুনছেই না উল্টো লিগে নিবন্ধিত সব বিদেশি খেলোয়াড় একই ম্যাচে এক সঙ্গে খেলানোর ব্যবস্থা করেছে।
গত মৌসুম থেকে আবারও প্রিমিয়ার লিগে এক সঙ্গে চারজন বিদেশি খেলার নিয়ম করা হয়েছে। এবার নতুন নিয়মে একজন বাড়িয়ে নিবন্ধনের সংখ্যা করা হয়েছে ৫ জন। তবে ম্যাচে খেলার কথা ছিল আগের মতো চারজনেরই। এ ক্ষেত্রে বিদেশির বদলে বিদেশি নামানোর কোনো সুযোগ ছিল না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবার বিদেশির বদলে বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামানো যাবে। তবে এশিয়ান খেলোয়াড়ের পরিবর্তে এশিয়ান খেলোয়াড়ই নামাতে হবে। আজ বাফুফের সভায় অনুমোদিত হয়েছে আইনটি। স্বাভাবিকভাবে এতে স্থানীয়দের খেলার সুযোগ যাবে আরও কমে।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে নতুন নিয়মে স্ট্রাইকারদের খেলার সুযোগ আরও কমল কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীর সাফ কথা, ‘গোল কী আমি করে দেব?’ পরেই বর্তমান সময়ের ফুটবলারদের আত্ম নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার, ‘একজন স্ট্রাইকারের স্কিল, ব্যক্তিগত অনুশীলন, এবং গোল করার খিদে থাকতে হবে। সেটিই তো এখন নেই। আপনি যতই বিদেশি ছাড়া খেলুন, তবু দেখবেন গোলকিপারের ৫ ফুট সামনে থেকেও বল বাইরে মারবে। যেটা বাইরে মারা সম্ভব নয় সেটাও মারবে। কারণ, ওদের মধ্যে (এখনকার ফুটবলার) আমি কোনো গোলের খিদেই দেখিনি। ওরা ভয় পায়।’