লিগ ওয়ানে গেঁগাঁর বিপক্ষে ৯-০ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি। হ্যাটট্রিক করেছেন কাভানি ও এমবাপ্পে। নেইমারের জোড়া গোল ছাড়াও গোল করেছেন মুনিয়ের।
নেইমারেরা গেঁগার কথা ভুলে যাননি নিশ্চিত...!
এই তো সেদিন ফরাসি লিগ কাপে এই গেঁগার কাছে হেরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল পিএসজি। সেই গেঁগাকে নিয়ে ঘরের মাঠে ছেলেখেলায় মাতলেন নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পেরা। এক-এক করে গেঁগাঁর জালে তাঁরা করেছেন ৯ গোল।
নিজেদের মাঠে লিগ ওয়ানে এটিই পিএসজির সবচেয়ে বড় জয়। শুরুটা করেছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বর্তমান রাজপুত্র নেইমার। চোট থেকে ফিরে খেলেছেন দুর্দান্ত। কাভানি-এমবাপ্পের মতো হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও নেইমার জোড়া গোল দিয়ে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। একাদশ মিনিটে আলভেসের বাড়ানো বলে অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রথম গোল করেন নেইমার। এরপর ৬৮তম মিনিটে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নাম লেখানোর পর লিগে ৩৩ ম্যাচে এটি ছিল তাঁর ৩২তম গোল। লিগ ওয়ানে গেল ৪৫ বছরের ইতিহাসে এত দ্রুত এত গোলের মালিক এখন নেইমারই।
প্রথমার্ধে একাদশ মিনিটে নেইমারের গোলের পর জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে। ৩৭তম মিনিটে নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে গোল করেন এমবাপ্পে। ৪৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে ফের বল জড়ান ফরাসি এই তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধে আঘাত হানেন কাভানি। বেশ কিছুদিন যাবৎ গেঁগাঁ যেন কাভানির প্রিয় দল বনে গেছে। দলটির বিপক্ষে পিএসজির শেষ ১২ গোলের ৮টিতেই কাভানির ভূমিকা আছে। এর মধ্যে ৬ গোল নিজে করেছেন, বাকি ২ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। শনিবার রাতে গেঁগাঁর বুকে কাভানি প্রথম ছুরি চালান ৫৯তম মিনিটে। ৬৬তম মিনিটে দ্বিতীয় এবং ৭৫তম মিনিটে হ্যাটট্রিক গোল করেন পিএসজির উরুগুইয়ান এই ফরোয়ার্ড। কাভানির হ্যাটট্রিক উদ্যাপনের মিনিট পাঁচেক পর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপ্পেও। কাভানির মাপা ক্রস থেকে পাওয়া বল থেকেই গোল করেন এমবাপ্পে।
গেল ৪৫ মৌসুমে এই ঘটনা দ্বিতীয়। মানে, লিগ ওয়ানে একই দিনে একই দলের দুই খেলোয়াড় এর আগে হ্যাটট্রিক করেছিল সেই ১৯৭৯ সালে।
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকের পর ৮৩তম মিনিটে মুনিয়েরের গোলে ৯ গোলের কোটা পূরণ করে ফরাসি জায়ান্টরা।