ম্যাচের আগে সব মনোযোগ কেড়ে নেয় দর্শক আসনে বসা ম্যাথাইয়াস পগবার গায়ের অদ্ভুতদর্শন জার্সিটা। দুটি জার্সি যেন জোড়া লাগানো, এক পাশে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের লাল, অন্য পাশে সেঁত এতিয়েনের সবুজ। অবশ্য আর কীই-বা করবেন ম্যাথাইয়াস? তাঁর দুই ভাই—পল পগবা ও ফ্লোরেন্তিন পগবা যে খেলছিলেন মুখোমুখি হওয়া দুটি দলে।
রেফারির বাঁশির আগে ম্যাচটা আলোচনায় ছিল দুই পগবা ভাইয়ের কারণে। আর রেফারির শেষ বাঁশির পর ‘পগব্রোস’কে ছাড়িয়ে আলোচিত খুবই পরিচিত অন্য একটি নাম—ইব্রাহিমোভিচ! হ্যাটট্রিক করেছেন সুইডিশ স্ট্রাইকার, তাতে ইউরোপা লিগের শেষ ৩২-এর প্রথম লেগে সেঁত এতিয়েনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড।
হ্যাটট্রিক পরশু আরও একটি হয়েছে। করেছেন রোমার বসনিয়ান স্ট্রাইকার এডিন জেকো, ভিয়ারিয়ালের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে রোমা। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক পেলেন জেকো, নভেম্বরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও করেছিলেন তিন গোল।
তবে সবচেয়ে আলোচিত ইব্রাহিমোভিচের হ্যাটট্রিকটিই। সেটি গোলের ধরনের কারণে নয়, ম্যাচের পর তাঁর স্বভাবসুলভ কথার কারণে। সুইডিশ স্ট্রাইকার নিজেই নিজের উপমা দিয়েছেন ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’!
১৫ মিনিটে প্রথম গোল, ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয়টি, আর ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে করেছেন তৃতীয়টি। ইউনাইটেডে প্রথম মৌসুমেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের গোল হয়ে গেল ২৩টি! তবে শুধু গোল নয়, ইব্রার চোখ এখন শিরোপায়ও। আট দিন পর লিগ কাপে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ফাইনালে তো জিততে চানই, হাতে তুলতে চান ইউরোপা লিগের শিরোপাও।
কারণ, ওই যে, তিনি ইন্ডিয়ানা জোনস! স্টিভেন স্পিলবার্গের চলচ্চিত্রের চরিত্র ‘ইন্ডি’র মতো সফল হয়েছেন সব অভিযানেই। হল্যান্ড, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স—শিরোপা জিতেছেন সব দেশেই। ইংল্যান্ড আর বাদ পড়ে কেন? ইব্রাহিমোভিচও বললেন, ‘প্রতিটি শিরোপাই আমার জন্য অবিশ্বাস্য! এখানেও কিছু জিতলে অনেক খুশি হব। সবাই জানে, আমি অনেক ক্লাবে খেলেছি, সব জায়গায় নিজের সেরাও দিয়েছি। যেখানেই গেছি, শিরোপা জিতেছি—সে হিসাবে তো আমি ইন্ডিয়ানা জোনস!’
একমাত্র ইব্রাই পারেন নিজের কোনো উপমা দিতে। স্কাই স্পোর্টস।