'আর্জেন্টিনার জন্য বাংলাদেশের আবেগ'

এরিয়ান কোলম্যান। সংগৃহীত ছবি
এরিয়ান কোলম্যান। সংগৃহীত ছবি
>

বিশ্বকাপ এলেই পুরো বাংলাদেশ যেন হয়ে ওঠে জাতিসংঘ। সমর্থকদের প্রিয় দেশের পতাকায় সজ্জিত হয়ে যায় পুরো দেশ। নানান পতাকার ভিড়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল থাকে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা। পৃথিবীর অন্য অর্ধের ওই দেশের অধিকাংশ মানুষই হয়তো এ দেশের এমন ভালোবাসার কথা কখনো জানতে পারে না। তবে এরিয়াল কোলম্যানের বদান্যতায় আর্জেন্টিনার মানুষও জানতে পারছেন তাদের নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনার কথা

‘প্যাশন পর আর্জেন্টিনা এন বাংলাদেশ’, স্প্যানিশ ভাষায় ছোট এই বাক্যটির সঙ্গে ঢাকার আকাশে আর্জেন্টিনার পতাকা উড়ছে এমন কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশে অবস্থান করা এক আর্জেন্টাইন। যার বাংলা অর্থ ‘আর্জেন্টিনার জন্য বাংলাদেশের আবেগ।’ ছোট এই কথাটি দিয়েই আর্জেন্টিনার জন্য বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।

দেশের ফুটবলের ন্যূনতম খোঁজ খবর যারা রাখেন, তাদের চিনে ফেলার কথা এই মানুষটিকে। তিনি এরিয়াল কোলম্যান। বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম ট্রেনার হিসেবে যার পরিচয়। বর্তমানে কাজ করছেন শেখ জামাল ধানমন্ডির ট্রেনার হিসেবে।

এরিয়াল কোলম্যানের ফেসবুকে দেওয়া সে পোস্ট।

প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচয় এরিয়ালের। ২০০৫ সালে স্বদেশি কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির সহকারী হিসেবে পা রাখা বাংলাদেশে। সে সুবাদে ২০০৬ বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েও বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা দেখে অবাক হয়েছিলেন। তাঁর সুবাদে আর্জেন্টিনার পত্রিকায় বাংলাদেশ নিয়ে লেখালেখিও হয়েছে। মাঝে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিলেও শেখ জামালের হয়ে কাজ করার সুবাদে এখনো বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন।

বাংলাদেশে বসে ২০০৬ বিশ্বকাপ দেখেছেন, ২০১৮ বিশ্বকাপের উন্মাদনা দেখার সৌভাগ্যও হচ্ছে এরিয়ালের। কোন সময়টাতে আর্জেন্টিনার পতাকা বেশি উড়তে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে? ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপকেই এগিয়ে রাখছেন এরিয়াল, ‘২০০৬ সালে আমি চট্টগ্রাম, ফরিদপুরেও গিয়েছিলাম। সেখানে তো অনেক বড় বড় পতাকা দেখেছি আর্জেন্টিনার। এবার তো শুধু ঢাকার উন্মাদনাই দেখছি। সে হিসেবে এবার পতাকা কম চোখে পড়ছে।’

বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশ জুড়ে উড়ছে আর্জেন্টিনার পতাকা। তবে আর্জেন্টিনায় এরিয়ালের বাড়িতে কিন্তু ওড়ে বাংলাদেশের পতাকা।