>গত কয়েক মাস ধরে দলবদলের বাজারে সবচেয়ে বড় খবর—পিএসজি ছেড়ে বার্সেলোনায় ফিরতে চান নেইমার। বার্সায় ফেরার জন্য বর্তমান ক্লাব পিএসজিকে যত ধরনের ইঙ্গিত দেওয়া সম্ভব, সব দিচ্ছেন তিনি। এদিকে নেইমারের পিএসজি সতীর্থ মার্কো ভেরাত্তি বলেছেন, নেইমার যদি আসলেই পিএসজি ছাড়তে চান, তাহলে তাকে জোর করে ধরে রাখার কোনো দরকার নেই
প্যারিসে আর মন টিকছে না ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নেইমারের। বার্সেলোনায় ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন তিনি। এ খবর আজকে নতুন নয়। পিএসজিও নেইমারের আচরণে বিশেষ সন্তুষ্ট নয়। আর হবেই বা কেন? যে তারকাকে ঘিরে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী ক্লাব হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল পিএসজি, যে আশায় ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বানিয়েছিল তাকে, সে নেইমার যদি এখন মাঝপথে ক্লাব ছাড়তে চায়, কোন ক্লাবের ভালো লাগবে? এদিকে নেইমারের পিএসজি সতীর্থরাও বুঝে গেছেন, বেশি দিন পিএসজিতে থাকা হচ্ছে না নেইমারের। পিএসজির ইতালিয়ান তারকা মার্কো ভেরাত্তি জানিয়েছেন, নেইমার ক্লাব ছাড়তে চাইলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক।
অসুখী খেলোয়াড়কে বেঁধে-ধরে রাখার কোনো মানে নেই, বলেছেন ইতালির এ মিডফিল্ডার, ‘আমি জানি না ক্লাবের সঙ্গে নেইমারের কী কথা হয়েছে। এটা ওর আর ক্লাবের মধ্যকার ব্যাপার। যদিও আমার মনে হয় কোন খেলোয়াড় যদি ক্লাবে না থাকতে চায় তাকে জোর করে রাখা উচিত নয়, ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
তবে ভেরাত্তি নিজেও জানেন, খেলোয়াড় হিসেবে নেইমারের মান কেমন, নেইমারের মতো খেলোয়াড় পিএসজিতে থাকলে ক্লাবের কি উপকার হবে। এ জন্য ভেরাত্তিও চান, নেইমার যেন পিএসজিতেই থাকেন, ‘আমি অবশ্যই চাইব নেইমার যেন আমাদের সঙ্গেই থাকে। আমি কখনো ওকে বলতে শুনি যে ও ক্লাব ছাড়তে চায়। ক্লাবকে বলেছে কী না আমি জানি না। নেইমার চলে গেলে আমি খুব হতাশ হব। তবে ও সম্প্রতি চোটে পড়েছে আর ব্যক্তিগত জীবনেও কঠিন সময় পার করছে।’
অথচ নেইমারের পিএসজি আসার পেছনে ভেরাত্তিরও কিন্তু ‘ভূমিকা’ আছে। কয়েক বছর আগে ভেরাত্তিকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল বার্সেলোনা। তখন জাভি অবসর নেওয়ার কথা চিন্তা করছেন, আগের মতো আর খেলতে পারেন না। জাভির যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ভেরাত্তিকেই পছন্দ হয়েছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। সে লক্ষ্যে পিএসজিকে না জানিয়েই ভেরাত্তির সঙ্গে দলবদল বিষয়ক কথাবার্তা চালিয়ে যায় বার্সা। পিএসজি ঘটনা বুঝতে পেরে উল্টো নেইমারকে বার্সা থেকে নিয়ে আসে! শ্যাম আর কূল—দুটোই হারায় বার্সেলোনা।
দলবদলের সময়সীমা শেষ হতে এখনো মাসখানেক বাকি। ফ্রান্স ও স্পেন উভয় দেশেই গ্রীষ্মকালীন দলবদল শেষ হবে ২ সেপ্টেম্বর। নেইমার কি পারবেন, এই এক মাসের মধ্যে বার্সেলোনায় ফিরতে?