৯ গোলের যে রেকর্ডে আছেন বাবা ও ছেলে

লেস্টার সিটির নবম গোলের পর দলটির স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডির উল্লাস। ছবি: এএফপি
লেস্টার সিটির নবম গোলের পর দলটির স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডির উল্লাস। ছবি: এএফপি

বেশ কিছুদিন ধরেই রালফ হাসেনহাটলের অবস্থা ঠিক ভালো যাচ্ছে না। আরবি লাইপজিগের ম্যানেজার থাকতে এই অস্ট্রিয়ান কোচ বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে লিগ জয়ের জন্য পাল্লা দিতেন। আর্সেনাল-পিএসজির দায়িত্ব নেবেন, শোনা গেল কিছুদিন। পরে চাকরি জুটল সাউদাম্পটনে। প্রথম কয়েক মাস বেশ ভালো করলেন ‘মরণাপন্ন’ সাউদাম্পটনকে অবনমন থেকে উদ্ধার করলেন। এ মৌসুমের শুরু থেকেই প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে পারছিলেন না হাসেনহাটল। শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে তারা, রয়েছে অবনমন অঞ্চলে। কাল তো যন্ত্রণার চূড়ান্তই হয়ে গেল। নিজেদের মাঠেই লেস্টার সিটির কাছে তারা হেসে বসেছে ৯-০ গোলে!

প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের তালিকায় এ জয় যৌথভাবে শীর্ষে। ১৯৯৫ সালে ইপসউইচ টাউনকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সে ম্যাচে ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ছিলেন ডেনিশ কিংবদন্তি পিটার স্মেইকেল। দুই যুগ পর এবার একই স্কোরলাইনের ম্যাচে জয়ী দল অর্থাৎ লেস্টারের গোলপোস্টের নিচে পিটারেরই ছেলে ক্যাসপার স্মেইকেল!

একাই পাঁচ গোল করেছিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যান্ডি কোল। জোড়া গোল করেছিলেন ফিল হিউজ, একটি করে গোল করেছিলেন রয় কিন আর পল ইনস। তবে ইউনাইটেড সে গোলবন্যা নিজেদের মাঠেই বইয়েছিল। আর এই একটি জায়গাতেই লেস্টার সিটির অর্জনটি অনন্য। লেস্টার যে সাউদাম্পটনের মাঠে গিয়ে তাঁদের গোলের মালা পরিয়ে এসেছে!

>

সাউদাম্পটনের মাঠে গিয়ে ৯-০ গোলে জিতেছে লেস্টার সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটি যৌথভাবে সবচেয়ে বড় জয়

ম্যাচের দশ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লেস্টারের ইংলিশ লেফটব্যাক বেল চিলওয়েল। তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় তাঁর দু'মিনিট পরে। লেস্টারের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আয়োজে পেরেজকে বাজেভাবে ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সাউদাম্পটনের অধিনায়ক রায়ান বার্ট্রান্ড। মাঠে একজন বেশি পেয়ে লেস্টার শুরু করল আসল গোল উৎসব, যার পুরোভাগে ছিলেন ওই আয়োজে পেরেজ। প্রথমার্ধেই দুটি গোল করেন তিনি, একটি করে গোল করেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার ইয়ুরি তিলেমান্স ও ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি। প্রথমার্ধেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় লেস্টার।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল না খাওয়ার পণ করে নামে লেস্টার। তবে সে প্রতিজ্ঞা ভাঙতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। ৫৭ মিনিটেই নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পেরেজ। তাঁর ঠিক পরের মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ভার্ডি। ৮৫ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস ম্যাডিসন গোলের খাতায় নাম লেখান। ম্যাচের একদম শেষ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করে পেরেজের পাশাপাশি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভার্ডিও।