ম্যাচের আগে দুই দলের অধিনায়ক ও রেফারিরা
ম্যাচের আগে দুই দলের অধিনায়ক ও রেফারিরা

৯০ মিনিটের পর দুই গোলে রোমাঞ্চ ছড়ানো ড্র

শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে উজবেক মিডফিল্ডার ওতাবেক গোল করতেই শেখ জামাল ধানমন্ডি শিবির আনন্দে মেতে উঠল। হারতে হারতে ২–২ গোলে নাটকীয় ড্র। অন্তত একটা পয়েন্ট পাওয়ার স্বস্তি তখন শেখ জামালের নাইজেরিয়ান কোচ যোসেফ আপুসির চোখেমুখে।

সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির চোখমুখে তখন বিস্ময়ের ছাপ। হারতে বসা ম্যাচে তাঁর দল সাইফ স্পোর্টিং ফিরে এসে অতিরিক্ত সময়ে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি।

ফুটবল ম্যাচে কখনো কখনো শেষ বাঁশির আগে হঠাৎ ম্যাচের স্কোরলাইন পাল্টে যায়, যোগ করা সময়ে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। তেমনই এক ম্যাচ হয়েছে আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। যে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কেউ হারেনি বা জেতেনি। জিতেছে আসলে ফুটবল। মাঠে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের পয়সা উশুল।

১৯ ম্যাচে সাইফ ও শেখ জামাল দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৩৪। গোল গড়ে তৃতীয় স্থানে সাইফ, চারে শেখ জামাল।

জামাল ভূঁইয়াদের আজকের ম্যাটটা অনেক দিন মনে রাখবেন মুন্সিগঞ্জের দর্শক। নতুন মৌসুমে সাইফ ছেড়ে জামালের শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে নাম লেখানোর গুঞ্জন চলছে। জামাল আজ সাইফের আক্রমণ তৈরিতে রেখেছেন বাড়তি ভূমিকা।

মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়ামে দুই স্বাগতিক দলের লড়াইয়ে অবশ্য সোহানের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল শেখ জামাল। এরপর কর্নার থেকে সেই সোহানের হাতে লাগে বল, পেনাল্টিতে সাইফের ডিফেন্ডার বাইসেঙ্গে ১–১ করেন। অতিরিক্ত সময়ে আসকর গফুরভের দুর্দান্ত এক কোনাকুনি প্লেসিংয়ে এগিয়ে যায় সাইফ।

ম্যাচ শুরুর আগে শেখ জামাল একাদশ

এই গোল ধরে রেখে জিততে পারলে সাইফের জন্য সেটি হতো দারুণ এক জয়। পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার তৃপ্তি নিয়েই ফিরতে পারত তারা ঢাকায়। কিন্তু যোগ করা ৫ মিনিট সময়ের শেষ ক্ষণে পেনাল্টি পেয়েছে শেখ জামাল। তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি ওতাবেক।

প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বে শেখ জামালের দায়িত্ব নেওয়ার পর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না যোসেফ আপুসির। আগের ৭ ম্যাচে ৪ জয়ের বিপরীতে হার ৩। সেই ৩ হার আবার তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ ম্যাচের মধ্যে। হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে গত ম্যাচেই চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২–০ গোলে হারিয়েছিল শেখ জামাল। আজ আগে গোল করেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি।

অন্যদিকে চলতি প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বটা দারুণ কাটছে সাইফের। আগের ৭ ম্যাচের ৬টিই জয়, ১ হার। সর্বশেষ ম্যাচে জয় আবাহনীর মতো দলের বিপক্ষে ৪–২ গোলে মুন্সিগঞ্জেই। আজ পিছিয়ে পড়েও একসময় এগিয়ে যায়। শেষ মিনিটে নাটকীয় গোলে জয়বঞ্চিত হলেও এক পয়েন্টও কম নয় সাইফের কাছে।

ম্যাচ শুরুর আগে সাইফ স্পোর্টিংয়ের একাদশ

১৯ ম্যাচে সাইফ ও শেখ জামাল দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৩৪। গোল গড়ে তৃতীয় স্থানে সাইফ, চারে শেখ জামাল।

শেখ জামালের অধিনায়ক সলোমন কিং চলে গেছেন দেশে। গাম্বিয়ান জাতীয় দলের হয়ে খেলে ইউরোপে একটা লিগে ট্রায়াল দিতে যাবেন। তাঁকে এই লিগে পাওয়া যাচ্ছে না। আজই প্রথম তাঁকে ছাড়া খেলেছে শেখ জামাল। দ্বিতীয় পর্বে আসা নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার মুসা চোটের কারণে আজ খেলেননি। ভঙ্গুর দল নিয়ে কোনোমতে ড্র করাও জয়ের সমান।