টানা ষষ্ঠবারের মতো ইতালীয় সিরি ‘আ’ জিতল জুভেন্টাস। আগামী ৩ জুন কার্ডিফে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে অনন্য এই কীর্তি ইতালির শীর্ষ এই ক্লাবকে দিচ্ছে অন্য রকম এক প্রেরণাই। গত মৌসুমেই আরেক কীর্তি সঙ্গী হয়েছিল তাদের। সিরি ‘আ’তে এর আগে কেউ দুবার টানা পাঁচবার শিরোপা জেতেনি। এবার টানা ছয়বার লিগ জিতে নিজেদের অন্য উচ্চতাতেই তুলে নিল জুভেন্টাস।
ইতালীয় ফুটবলের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলের কোনো তুলনাই হয় না। তুলনার কথা মুখে আনাটাও বিব্রতকর। কিন্তু জুভেন্টাসের মতোই টানা ছয়টি লিগ শিরোপা জয়ের কীর্তি আছে বাংলাদেশেও। তবে সেটি কোনো ক্লাবের নয়। একজন ফুটবলারের। আশির দশকে ঢাকার ফুটবলের অন্যতম প্লেমেকার সম্রাট হোসেন এমিলি টানা ছয়বার লিগ বিজয়ী দলে খেলে অনন্য এই রেকর্ড গড়েছিলেন।
এমিলি ১৯৮৩ সালে প্রথম লিগ শিরোপা জিতেছিলেন আবাহনীর হয়ে। পরের দুই বছর ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে আবাহনী লিগ জয় করে দেশের ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিক লিগ জয়ের রেকর্ড গড়ে। এমিলি এই তিন মৌসুম ছিলেন আবাহনীর মাঝমাঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
১৯৮৬ সালে আবাহনীর কাছ থেকে এমিলিকে ছিনিয়ে নেয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান। সেবার তিন মৌসুম পর মোহামেডান ঢাকা লিগের শিরোপা ফিরে পায়। এমিলিও মোহামেডানের হয়ে উদ্যাপন করেন তাঁর টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা। ১৯৮৭ আর ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমেও মোহামেডান লিগ জিতে শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিক করে। এই দুই মৌসুমেও মোহামেডানেই ছিলেন এমিলি।
এমিলি মোহামেডানে খেলেন ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। ১৯৯০ মৌসুমে অল্পের জন্য টানা সাত লিগ জয়ের গৌরব ছুঁতে পারেননি এমিলি। লিগের শেষ দিনে নিষ্পত্তি হওয়া শিরোপাটা জয় করে আবাহনী। ১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে মোহামেডানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা আবাহনী গোলশূন্য ড্র করেই তিন মৌসুম পর পুনরুদ্ধার করে লিগ শিরোপা।
বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে ভাগ্যবান খেলোয়াড় বোধ হয় বলাই চলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এমিলিকে!