>প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম। হোম ভেন্যু হিসেবে মাঠটি বেছে নিয়েছে নোফেল স্পোর্টিং ও টিম বিজেএমসি। ইতমধ্যে খেলা হয়েছে চারটি ম্যাচও। কিন্তু ঢাকায় ফিরে সব দলের মুখেই শোনা গিয়েছে মাঠ নিয়ে অভিযোগ
ঘরোয়া ফুটবলের জন্য পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এমপি সিলভার কাছ থেকে বছরে এক মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার বা প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এর মধ্যে তিন লাখ ডলার প্রিমিয়ার লিগে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। কিন্তু কোথায় খেলা হচ্ছে, এ নিয়ে যেন কোনো হেল দোলই নেই বাফুফের। থাকলে কি আর ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগের বল গড়াত যেমন তেমন মাঠে!
ফুটবলের ১৭টি আইনের প্রথমটি খেলার মাঠ। কারণ জায়গা ছাড়া খেলা সম্ভব নয়। আর ভালো ফুটবলের জন্য প্রধান শর্ত ভালো মাঠ। কিন্তু মাঠ যদি হয় অসমতল, ঘাসবিহীন ন্যাড়া, মাঝখানে থাকে ক্রিকেটের পিচ; সে মাঠে আর যাই হোক ভালো ফুটবল আশা করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। বিজেএমসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বসুন্ধরা কিংস এখন নোয়াখালীতে। কিন্তু ম্যাচের আগেই মাঠ দেখে ভেঙে পড়েছেন দলের খেলোয়াড় থেকে কোচিং স্টাফ। আজ বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে মাঠের কি বেহাল অবস্থা। শক্ত ন্যাড়া মাঠের কোথাও কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গোবর। রিজার্ভ খেলোয়াড়দের বসার বেঞ্চ বানানো হয়েছে ডেকোরেটরের কাপড় ও বাঁশ দিয়ে। সব মিলিয়ে মাঠ দেখে একেবারেই হতাশ বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। এমন মাঠে ভালো ফুটবল তো দূরের কথা ফুটবলই সম্ভব নয় বলে জানালেন বসুন্ধরা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, ‘মাঠের যে অবস্থা, এই মাঠে খেলা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের খেলোয়াড়েরা মাঠ দেখেই ভেঙে পড়েছে। ন্যূনতম ভালো বলতে যা বোঝায়, সে অবস্থাতেও নেই। কোচ অস্কার তো একেবারেই ভেঙে পড়েছেন।’
প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লীগের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম। হোম ভেন্যু হিসেবে মাঠটিকে বেছে নিয়েছে নোফেল স্পোর্টিং ও টিম বিজেএমসি। ইতমধ্যে খেলা হয়েছে চারটি ম্যাচও। কিন্তু ঢাকায় ফিরে সব দলের মুখেই শোনা গিয়েছে মাঠ নিয়ে অভিযোগ।