২ হাজার ৮২ দিন পর জয়ে দিয়াবাতের পা থেকে এসেছে জোড়া গোল
২ হাজার ৮২ দিন পর জয়ে দিয়াবাতের পা থেকে এসেছে জোড়া গোল

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ

২ হাজার ৮২ দিন পর শেখ জামাল ক্লাবকে হারাল মোহামেডান

কত দিন পর শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে জয় পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব?

কুইজের প্রশ্ন হতে পারে। মোহামেডানের পাঁড় সমর্থক হলেও উত্তরটা দেওয়া কঠিনসাধ্য ব্যাপার। কারণ, সময়টা তো আর কম নয়—৫ বছর ৮ মাস ১৩ দিন। আরও স্পষ্ট করে বললে ২ হাজার ৮২ দিন পর আজ শেখ জামালকে হারিয়েছে মোহামেডান। জয়টাও এসেছে বড় ব্যবধানে।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বে শেখ জামালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। পেনাল্টি থেকে সুলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলের বিকেলে মোহামেডানের অন্য গোলটি শেখ মোরসালিনের। শেখ জামালের ব্যবধান কমানো গোলটি আত্মঘাতী।

আজকের আগে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে শেখ জামালকে সর্বশেষ হারিয়েছিল মোহামেডান। ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে মোহামেডানের জয়সূচক গোলটি করেছিলেন তৌহিদুল আলম সবুজ। এরপর প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেলে কোনো জয়ের দেখা পায়নি মোহামেডান। অবশেষে আজ শেখ জামালকে হারানোর রাস্তা খুঁজে পেল তারা। শুধু লিগের হিসাবে মুখোমুখি লড়াইয়ে আট ম্যাচ পর জয় পেল মোহামেডান।

শেখ জামাল ক্লাবকে মোহামেডান শেষবার হারিয়েছিল ২০১৬সালে

আগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে ৪-২ গোলে হারা মোহামেডান আজ নিজেদের হোম ভেন্যুতে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। পাসিং ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসেছিল শফিকুল ইসলামের দল। বলের দখলে বেশ এগিয়ে ছিল সাদা–কালোরা। পিছিয়ে পড়ার পর শেখ জামালও ম্যাচে ফেরার মতো বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করা ছাড়াও জোসেফ আপুসির দলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাইড পোস্ট।

৩৪ মিনিটে মোহামেডানের হয়ে দুর্দান্ত গোলে গোলের খাতা খোলেন মোরসালিন। ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামানের ক্রসে বক্সের মধ্য থেকে দেখেশুনে ভলিতে প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বসুন্ধরা কিংস থেকে ধারে মোহামেডানে নাম লেখানো এই মিডফিল্ডার। লিগে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেই ব্যক্তিগত গোলের খাতা খুলে নিলেন ১৬ বছর বয়সী মোরসালিন। মোহামেডানের দ্বিতীয় গোলেও অবদান আছে তাঁর। ৪২ মিনিটে গোলটি এসেছে পেনাল্টি থেকে।

ভুলে যাওয়া এক স্বাদ পেল মোহামেডান

বক্সের মধ্যে দিয়াবাতের উদ্দেশে থ্রু দিয়েছিলেন মোরসালিন। দিয়াবাতের সঙ্গে বলের দখলের লড়াইয়ে গিয়ে হ্যান্ডবল করে বসেন শেখ জামাল সেন্টারব্যাক রায়হান হাসান। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুলই করেননি মালিয়ান স্ট্রাইকার দিয়াবাতে। অবশ্য এর আগে ৩৮ মিনিটে দিয়াবাতের আত্মাঘাতী গোলেই ১–১ সমতায় ফিরেছিল শেখ জামাল। ভালিজনভ ওতাবেকের শট দিয়াবাতের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।

৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৩–১ করেন অধিনায়ক দিয়াবাতে। ফরহাদ মনার ক্রস বক্সের মধ্যে আরিফুল ইসলামের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয়বার বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি দিয়াবাতের। এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানেই থাকল মোহামেডান। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চারে শেখ জামাল।