ডাকার ফিরল বাটাতে। ২৩ বছর আগে সেনেগালের রাজধানীতে প্রথমবার আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছিল আইভরিকোস্ট। পরশু ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বাটায় আবার সেটা ফিরে পেল ‘এলিফ্যান্টসরা’। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল ঘানা আর শিরোপা এসেছিল টাইব্রেকারের রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তায়। কী অদ্ভুত কাকতাল, পরশুও সেই ঘানাকেই আরেকবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হলো, তাও টাইব্রেকার-নাটকের পরেই! টাইব্রেকারে ৯-৮ গোলে হারিয়েই শিরোপা জিতেছে আইভরিকোস্ট।
মিল এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ডাকারের ১৯৯২ ফাইনালটি নির্ধারিত সময়ে ছিল গোলশূন্য ড্র, অতিরিক্ত সময়ে গিয়েও গেরো খুলতে পারেনি কেউ। পরশুও তা-ই, নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনো গোল নেই। ঘানাই অবশ্য কাছাকাছি গিয়েছিল, ২৫ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান আটসুর শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে, আর ৩৬ মিনিটে আবারও অল্পের জন্য বেঁচে যায় আইভরিকোস্ট। এবার আন্দ্রে আইয়ুর শট পোস্টে লেগে চলে যায় বাইরে।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তখনো ঘানাকেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য বিজয়ী। প্রথম দুই কিকে গোল করতে পারেননি আইভরিকোস্টের উইলফ্রায়েড বনি ও তাল্লো গাদজি। কিন্তু ঘানার আফ্রিয়ি আকুয়া ও ইমানুয়েল ফ্রিমপংয়ের ব্যর্থতায় পাঁচটা কিকের পরও থাকে সমতা। খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে, সেখানেও ৮-৮ গোলে সমতার পর কিক নিতে আসেন ঘানার গোলরক্ষক আমিদা ব্রিমাহর। সেটা ঠেকানোর পর নিজে গোল করে তোরের দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেন গোলরক্ষক বুবাক্যার ব্যারি।
কোচ হার্ভি রেনারের জন্য উপলক্ষটা নতুন নয়, তিন বছর আগে শিরোপা এনে দিয়েছেন জাম্বিয়াকে। এবার শিরোপা এনে দিলেন তৃষ্ণার্ত আইভরিকোস্টকে। অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত আইভরিকোস্ট অধিনায়ক আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার ইয়া তোরে, ‘অনেক দিন এটার জন্য অপেক্ষা করছি। অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। ক্লাবের হয়ে কিছু জেতা দুর্দান্ত তো বটেই, তবে জাতীয় দলের হয়ে জেতার অনুভূতি আসলেই অবিশ্বাস্য। অধিনায়ক হিসেবে অনুভূতিটা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা এখন আমার জন্য কঠিন।’ এএফপি, রয়টার্স।