মেসিকে এভাবেই আটকে রেখেছিলেন আলাভেসের খেলোয়াড়েরা।
মেসিকে এভাবেই আটকে রেখেছিলেন আলাভেসের খেলোয়াড়েরা।

১৮ বছরে এমন দুঃসময় আসেনি বার্সার

লিগে বার্সেলোনা শেষ কবে জিতেছে? উত্তর খুঁজছে একটু সময় লাগবে। বার্সেলোনার লিগ ফর্ম যে একদম যাচ্ছেতাই! সেই অক্টোবরের প্রথম দিন সেল্টা ভিগোর মাঠে গিয়ে জিতে এসেছিলেন মেসিরা। এরপর লিগে ম্যাচ কীভাবে জিততে হয়, যেন ভুলেই গেছেন তারা। সেল্টার পর লিগে চারটা ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও জয়ের মুখ দেখেনি বার্সা। সেভিয়ার বিপক্ষে ড্র করার পর হেতাফে আর রিয়ালের কাছে হেরেছে বার্সা। এবার ড্র আলাভেসের বিপক্ষেও। গত সপ্তাহে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ‘এল ক্লাসিকো’ হারের পর এই ম্যাচ জিতে একটু ক্ষতে প্রলেপ লাগাবেন কী, আবারও পয়েন্ট হারানোর আক্ষেপ আর বিরক্তি ঘিরে ধরল মেসিদের।

আলাভেসের মাঠে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র করে এসেছে বার্সেলোনা। ফলে লিগে ছয় ম্যাচ খেলার পর মাত্র আট পয়েন্ট পেলেন মেসিরা। লিগ টেবিলে বার্সেলোনার অবস্থান ১২ নম্বরে। ২০০২-০৩ সালের পর লিগে এত বাজে শুরু আর কখনোই হয়নি বার্সেলোনার। সেবার প্রথম ছয় ম্যাচে আট পয়েন্ট পাওয়ার পর মৌসুম শেষে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল বার্সেলোনা। নতুন কোচ রোনাল্ড কোমান অবশ্যই চাইবেন না তেমন কিছু এ মৌসুমেও হোক!

নেতোর ভুলের সুবিধা এভাবেই নেন রিওহা।

ফিলিপে কুতিনিও ছিলেন না, ফলে জুভেন্টাস ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মেসি-গ্রিজমানের পজিশন পরিবর্তন করেছেন কোমান। ৪-২-৩-১ ছকে এত দিন মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা মেসি নেমে গেছেন কুতিনিওর ‘নাম্বার টেন’ জায়গায়, আর মেসির জায়গায় মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন গ্রিজমান। দুই উইঙ্গার হিসেবে ছিলেন আনসু ফাতি ও উসমান দেম্বেলে। মিডফিল্ডে সার্জিও বুসকেতস ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, রক্ষণভাগে পিকে-লংলের সঙ্গী ছিলেন সার্জি রবের্তো ও জর্দি আলবা। গোলরক্ষক হিসেবে ছিলেন টের স্টেগেনের চোটের কারণে সুযোগ পাওয়া নেতো।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে এই নেতোর ভুলেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। পিকের একটা নিরীহ ব্যাকপাস সামলাতে না পেরে নেতো বল হারান আলাভেসের প্রেস করতে থাকা লেফট উইঙ্গার লুইস রিওহার কাছে। সমতা ফেরাতে বার্সাকে অপেক্ষা করতে হয় ৬৩ মিনিট পর্যন্ত। তাও লাল কার্ড দেখে আলাভেসের একটা খেলোয়াড় কমে যাওয়ার পর। ৬২ মিনিটে পিকের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ইগনাসিও জোতা। পরের মিনিটেই দুর্দান্ত এক চিপে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান গ্রিজমান।

গ্রিজমানের গোলে আসে সমতা।

গোটা ম্যাচে অবশ্য বার্সেলোনা আধিপত্য দেখিয়েছে। বলের দখল রেখেছিল ৮০ শতাংশ সময়ে। কিন্তু গোল করতে গিয়ে মেসিরা গুবলেট পাকিয়ে ফেলছিলেন বারবার। ফলে গোলমুখে ২৫টি শট নিয়েও আর গোল করা হয়নি বার্সার। আলাভেসের গোলরক্ষক ফের্নান্দো পাচেকোও ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। সাতটা সেভ করেছেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ওদিকে মেসি গোল বরাবর দশটা শট নিয়েও গোল করতে পারেননি। ফলে ‘ওপেন প্লে’ বা পেনাল্টিহীন গোলের জন্য তাঁর অপেক্ষা বাড়ল আরও।

আগামী বুধবার দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটা। নভেম্বরের সাত তারিখে খেলবে রিয়াল বেতিসের সঙ্গে। মৌসুমে ভালো কিছু করতে চাইলে এখনই ফর্ম ফেরাতে হবে মেসিদের।